কোলকাতার বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক ও রাজনীতিবিদ তাপস পাল মারা গেছেন

মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম চলচ্চিত্র ‘অবোধ’-এর নায়ক ছিলেন তাপস পাল।
অভিনয় ছাড়াও তিনি ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের দুবার বিধায়ক এবং দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তাপস পালের প্রথম চলচ্চিত্রের পোস্টার।
১৯৮০ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘দাদার কীর্তি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাপস পালের ক্যারিয়ারের শুরু হয়। সে চলচ্চিত্রে তাপস পালের বিপরীতে অভিনয় করেন প্রয়াত নায়িকা মহুয়া রায়চৌধুরী এবং দেবশ্রী রায়। আরও ছিলেন সন্ধ্যা রায়। ঘটনাচক্রে তাপস পাল, দেবশ্রী রায় এবং সন্ধ্যা রায় – তিনজনেই পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বা সংসদ সদস্য হয়েছেন। অন্যদিকে তার সঙ্গে অভিনয় করা নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে শতাব্দী রায়, মুনমুন সেন, দেব, চিরঞ্জিত আর নুসরত জাহানও পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেস দলেরই সংসদ সদস্য হয়েছেন।

মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম চলচ্চিত্রের পোস্টার। এ চলচ্চিত্রের নায়ক তাপস পাল ছিলেন।
প্রথম চলচ্চিত্রে তাপস পালের চরিত্রটিই তাপস পালকে বাঙালি মধ্যবিত্তের একেবারে ঘরের ছেলে করে তোলে। তরুণ মজুমদার, তপন সিংহ, অঞ্জন চৌধুরী, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, হরনাথ চক্রবর্তী সহ অনেক নামী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। যে সময়টাতে তাপস পাল বা প্রসেনজিৎ নায়ক হিসেবে এসেছিলেন, সে সময় বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একটা গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল।
সিনেমা জগতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতে করতেই তাপস পাল রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০০১ সালে এবং ২০০৬ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্য বিধানসভায় বিজয়ী হন। এরপর ২০০৯ আর ২০১৪ – দুবার কৃষ্ণনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে লোকসভার সদস্য হন তিনি।
