জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সৌদি আরবের লজ্জা
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে সৌদি আরব। তবে চীন ও রাশিয়া মঙ্গলবার তিন বছরমেয়াদি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
সৌদির প্রত্যাখ্যানকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। আর আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজের ভাবমর্যাদা উন্নয়ন চেষ্টা এটি প্রত্যাখ্যান সৌদির জন্য বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক ব্রুনো স্ট্যাঙ্গো এক টুইটার পোস্টে বলেন, সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীন সৌদি আরবকে মারাত্মক ভর্ৎসনার শামিল এইচআরসির নির্বাচনের ফল।
তিনি বলেন, কেবল একটি দেশ নির্বাচিত হতে পারে নি। জাতিসংঘের সংখ্যাগরিষ্ঠরা সৌদিকে এড়িয়ে গেছে। বিদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সৌদির এটি প্রাপ্য ছিল।
সাধারণ পরিষদে গোপন ব্যালটে এবার এই পরিষদের সদস্যপদ পাওয়া দেশগুলো হচ্ছে– বলিভিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, কিউবা, ফ্রান্স, গ্যাবন, আইভরি কোস্ট, মালাওয়ী, মেক্সিকো, নেপাল, পাকিস্তান, রাশিয়া, সেনেগাল, ইউক্রেন ও উজবেকিস্তান।
দেশগুলো ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। চীন পেয়েছে ১৩৯ ভোট। এর আগে ২০১৬ সালে যখন নির্বাচিত হয়েছিল, তখন বেইজিং ১৮০ ভোট পেয়েছিল।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘ পরিচালক বলেন, চীনের মানবাধিকার রেকর্ড তলানিতে চলে গেছে। বহুদেশ এতে বিরক্তবোধ করছে।
পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান পেয়েছে ১৬৯টি করে ভোট। নেপাল পেয়েছে দেড়শ’ ভোট। আর ব্যর্থ সৌদি আরব পেয়েছে ৯০ ভোট।❐