সম্পত্তি নিয়ে ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে বান্ধবীর দ্বন্দ্ব
কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হতে না হতেই তার সম্পদের ভাগ নিয়ে নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বণ্টন ও উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। আকস্মিৎ না ফেরার দেশে চলে যাওয়া এই তারকা নিজের সম্পত্তি লিখিত উইল করে গেছেন কিনা তা নিয়ে এখনও রহস্য চলছে।
এখনও পর্যন্ত ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলাসহ আর কেউ এমন কোনও উইল সামনে আনতে পারেন নি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভয়েজ অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– বাড়ি, গাড়ি ও স্পন্সর চুক্তি মিলিয়ে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ রেখে গেছেন ম্যারাডোনা। আর উইল না করে গেলে এ বিপুল সম্পদের বণ্টন নিয়ে তার সাবেক স্ত্রী, বান্ধবী ও সন্তানদের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতির জন্য প্রয়াত ম্যারাডোনাই দায়ী।
কেননা বর্ণাঢ্য জীবনে বহু নারীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ম্যারাডোনা। তার স্বীকৃত সন্তানই পাঁচজন। আর ম্যারাডোনাকে বাবা দাবী করা এমন সন্তান কাতারে রয়েছেন ছয়জন।
এই স্বীকৃত আর অস্বীকৃত সন্তানদের মধ্যে ম্যারাডোনার উত্তরাধিকারের লড়াইটা হয়ত আদালতে গড়াবে।
ইতোমধ্যে ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রী ক্লডিয়া ভিয়াফানে এবং দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার সঙ্গে তার সর্বশেষ বান্ধবী রোসিও অলিভারের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার অলিভারকে ম্যারাডোনার শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেন নি ক্লডিয়া। এমনকি ম্যারাডোনাকে শেষবারের মতো দেখতেও দেওয়া হয় নি অলিভারকে।
এ ঘটনায় ক্লডিয়াকে আদালতে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন অলিভার।
ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রীর দিকে অভিযোগ এনে অলিভার বলেন, ‘ক্লডিয়া ভিয়াফান আমাকে ম্যারাডোনার শেষকৃত্যে যেতে দেন নি। জানি না ওরা আমার সঙ্গে কেন এমন করছে! আমি তো শুধু শেষ বিদায় জানাতে চেয়েছিলাম। আমি ছিলাম দিয়েগোর শেষ সঙ্গী। বাকিদের তার ওপর যতটা অধিকার, আমারও তাই। সৃষ্টিকর্তা সব দেখছেন। একদিন এর মূল্য দিতে হবে।’❐