অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে গিয়ে আদালত অবমাননার দায়ে সৃজিত-মিথিলা
অষ্টমীর সকালে পূজা মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোনে’ ঢুকে অঞ্জলি দিয়ে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী নুসরত জাহান, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী রাফায়েত রশিদ মিথিলা। সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রকেও সপ্তমীর দিন মন্ডপে ঢুকে অঞ্জলি দেওয়ার কারণে আইনি নোটিস পাঠানো হতে পারে বলে খবর।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের পূজার অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন নুসরত, সৃজিত, মিথিলা। ছিলেন নুসরতের স্বামী নিখিল জৈনও। ওই পূজা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো বলেই সমধিক পরিচিত। প্রতিবারই সেখানে বিভিন্ন সেলিব্রিটিরা যান অঞ্জলি দিতে এবং ঢাকের তালে নাচতে। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে কোলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত পূজা মণ্ডপ ‘দর্শকশূন্য’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ বহিরাগত দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়াকেও তার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে অঞ্জলি দিয়েছেন বলে তার ফেসবুক পেজে দেখা গিয়েছে বলে একাংশের বক্তব্য। মহুয়া জানিয়েছেন, নদিয়ার করিমপুরে তার বাড়ি আছে। সেই বাড়িরই একেবারে লাগোয়া একটি মন্ডপ রয়েছে তিনি সেখানেই সপ্তমীর দিন অঞ্জলি দিয়েছেন তাও সেখানে পুরোহিত ছাড়া আর কেউই বিশেষ ছিলেন না। বাকি কোথাও তিনি অঞ্জলি দেন নি। কয়েকটি মন্ডপে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেগুলো সবই বাড়ির পূজা। বারোয়ারি পূজা নয়। সেখানেও তিনি প্যান্ডেলের বাইরেই বসেছিলেন। অর্থাৎ বহিরাগত দর্শক হিসেবে তিনি কোথাও যান নি।
আইনি নোটিস নিয়ে মহুয়া কোনও মন্তব্য করতে চান নি। তবে তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে কিছু ভিডিও পেশ করেছেন। তার ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, আইনি কোনও নোটিস এলে তিনিও আইনের পথেই হাঁটবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী, নুসরত-সৃজিতরা অঞ্জলি দিয়েছেন হাইকোর্ট নির্ধারিত মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোনে।’ সেখান থেকেই জন্ম হয়েছে বিতর্কের। কারণ, কোলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, মণ্ডপের চারদিকে ব্যারিকেড করে তৈরি করতে হবে ‘নো এন্ট্রি জোন’। সেই ‘নিষিদ্ধ’ এলাকায় পূজার উপাচারের প্রয়োজনে উদ্যোক্তাদের তরফে আদালতের ঠিক করে দেওয়া সংখ্যার কয়েকজন ঢুকতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।❐