Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
April 26, 2024
Homeআঞ্চলিকআওয়ামী লীগের দুই নেতা ধর্ষণের পর গৃহবধূর ভিডিও ভাইরাল করল

আওয়ামী লীগের দুই নেতা ধর্ষণের পর গৃহবধূর ভিডিও ভাইরাল করল

আওয়ামী লীগের দুই নেতা ধর্ষণের পর গৃহবধূর ভিডিও ভাইরাল করল

নাটোরের নলডাঙ্গায় দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভিজিএফের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এক দিনমজুরের স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করারও অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইব্রাহিম দেওয়ান ও তার সহযোগী বকুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ইব্রাহিম উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। তার সহযোগী বকুল হোসেন একই এলাকার আবেদ আলীর ছেলে।

গতকাল শুক্রবার আট জানুয়ারি ওই নারী নলডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাঁশভাগ এলাকা থেকে ইব্রাহিম দেওয়ান ও তার সহযোগী বকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ইব্রাহিমের বাড়ি উপজেলার বাঁশভাগ পূর্বপাড়ায়। তার অপর সহযোগী একই গ্রামের মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে রেজাউলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম মৃধা গণমাধ্যমকে জানান, গেল বছরের তিন অক্টোবর বিকেলে নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নে এক দিনমজুরের স্ত্রীকে ভিজিএফের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেন ইব্রাহিম।

পরে ওই নারীকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। এসময় তার দুই সহযোগী বকুল ও রেজাউল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন।

ঘটনাটি যাতে কেউ না জানে সেজন্য ইব্রাহিম তাকে ভয় দেখান ও নজরদারিতে রাখেন।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই মাস পর শুক্রবার রাতে নলডাঙ্গা থানায় ওই নারী বাদী হয়ে ইব্রাহিম, বকুল হোসেন ও রেজাউল করিমকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম ও বকুলকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে ইব্রাহিম দেওয়ান যে নোংরামী করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তাই এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।❐

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment