আমেরিকান ট্রাভেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র সংবাদ সন্মেলন আয়োজিত
বিশ্বে করোনা মহামারীর কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রাভেল এজেন্সি। নিউ ইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও বিশাল সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও নিউ ইয়র্কের ট্রাভেল এজেন্সি মালিকেরা গ্রাহকদের কাছে টিকেট বিক্রি ও বাতিলকৃত পুরনো টিকেটের অর্থ ফেরত দেওয়া ও ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
গেল ২৯ জুলাই জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় আমেরিকান ট্রাভেল এজেন্ট এসোসিয়েশন (এটিএএবি) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন এবং আলোচনা সভায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও গ্রাহকদের আরও অধিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এটিএএ-কে সক্রিয় করার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
গত মার্চে নিউ ইয়র্কে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার ফলে স্টেটের পক্ষ থেকে প্রথমে শাটডাউন ও পরবর্তীতে লকডউন ঘোষণা করা হয়। নিউ ইয়র্কের গর্ভনর এন্ড্রু কোমো ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করলে এটিএএ-ও তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট অপারেট বন্ধ হয়ে যায়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু তারপরও সংগঠনের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো লকডাউনে থাকাবস্থায় গ্রাহকদের চাহিদা মতো সেবা দিতে সক্ষম হয় বলে সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিউ ইয়র্কে গত ৬ জুন লকডাউনের প্রথম ধাপ উঠিয়ে দেওয়া হলে সংগঠনের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করে। বর্তমানে সংগঠনের সকল সদস্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে টিকিট বিক্রিসহ রিফান্ড এবং তারিখ পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট পেশাদারিত্ব পরিচালনা করছেন।
তারা জানান ইতোমধ্যে তিনটি বিমান আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। সেসব ফ্লাইটে ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক এবং নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকার যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারছেন। এটিএএবি জানায় তাদের প্রায় সব ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠান আগের মতো সপ্তাহে সাত দিন খোলা থাকবে এবং গ্রাহকরা তাদের প্রত্যাশিত সেবা পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের প্রতিটি ট্রাভেল এজেন্সির স্টোর পলিসি অনুযায়ী বাতিল টিকিটের অর্থ ফেরত দিয়ে গ্রাহকদের যে সন্তুষ্টি তারা অর্জন করেছেন তা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে তারা অভিযোগ করে বলেন, ট্রাভেল এজেন্সির সুনাম বিনষ্ট করতে কিছু গণমাধ্যম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট মুখরোচক সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। এটিএএবি ইতোমধ্যে সেসব গণমাধ্যমে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছে বলে জানানো হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কনভেনর মোহাম্মদ এম রহমান (মেঘনা ট্রাভেল), বক্তব্য রাখেন কো কনভেনর মোহাম্মদ কে রহমান (রহমানিয়া ট্রাভেল), বক্তব্যসহ বিভিন্ন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাফর ফেরদৌস, বাংলাদেশ ট্রাভেল, বেলায়েত হোসেন বেলাল, ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেল, মোহাম্মদ সেলিম (হারুন)- কর্ণফুলী ট্রাভেল, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মা ট্রাভেল, মোহাম্মদ খালেক, শাফওয়ান ট্রাভেল, মোশারফ হোসেন,রূপালী ট্রাভেল, মোহাম্মদ হারুন রশীদ, রশিদ ট্রাভেল, শ্যামল তালুকদারসহ আরও অন্যান্যরা লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এটিএএবি- এর মহাসচিব মোহাম্মদ হারুন (সেলিম) সংগঠনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।❑