কারাগারে মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সব কিছু বোঝা যাবে বলেও জানান মন্ত্রী।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর দুই নাম্বার গেইট এলাকায় অবস্থিত নব নির্মিত পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মুশতাক আহমেদ তার লেখনীতে কখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কিংবা অন্যের বিশ্বাসে আঘাত হানার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২০২০ সালে যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় কাশিমপুর জেলখানায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। হঠাৎ আইজি প্রিজনের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া যায়, তিনি অসুস্থবোধ করায় কারাগারের যে হাসপাতাল আছে সেখানে চিকিৎসা সেবার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা একটু খারাপ হলে তাকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু হয়।
প্রতিটি স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত হয়ে থাকে। যে কোনো মৃত্যুকেই ঘিরে প্রশ্ন উঠে। সেই জন্য মৃত্যুর ঘটনায় কারাগারে হোক অথবা দুর্ঘটনা হোক, অবশ্যই ময়নাতদন্ত করে থাকি। ময়নাতদন্তের পরেই বোঝা যাবে কিভাবে মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনবোধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ সময় আল জাজিরার প্রকাশিত নিউজ সম্পর্কে স্বরাষ্টমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য চক্রান্ত চলছে। অনেকে অনেক ধরনের কাজ করে চলেছে। আল জাজিরা যে নিউজ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ তা বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষ এই নিউজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারপরও যারা মিথ্যা নিউজ প্রচার করেছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন এই মিথ্যা বানোয়াট নিউজ, উদ্দেশ্য কি সব দেখা হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় দেশের যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হচ্ছে। যাদের নাম আসবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
নব নির্মিত পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সহ সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন।❐