Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
March 29, 2024
Homeআন্তর্জাতিককৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র

পুলিশের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। মিনোসোটা, মিশিগান, জর্জিয়া, নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

শুক্রবারও বেশ কয়েকটি শহরে আন্দোলনকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের কয়েকটি গাড়ি এবং ১৯টি ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা সিএনএনের প্রধান কার্যালয় ভাংচুর এবং মিনোসোটার গভর্নর ও মিনোপোলিসের মেয়রের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। বিচার চেয়ে হোয়াইট হাউস ঘেরাও করা হয়েছে।

শুক্রবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটের ডাউন টাউনে বিক্ষোভরত এক ব্যক্তি অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

সহিংস বিক্ষোভের মুখে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা এবং মিনোপোলিস ও সেইন্ট পল শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

মিনোসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনোপোলিসে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ ও রাতভর লুটপাট করা হয়েছে। আটলান্টায় শপিংমল লুট এবং বেশ কয়েকটি ভবনে ভাংচুর করা হয়েছে, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে লুটপাটকারীদের গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিনোপোলিস ও সেইন্ট পল শহরে শুক্র ও শনিবার রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক, লসএঞ্জেলস, শিকাগো, ডেনভার, হিউস্টন, লুইজভিল, ফিনিক্স, কলম্বাস, মেম্ফিসসহ বেশ কয়েকটি শহরে শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

ডালাসে প্রতিবাদকারীদের ইট-পাথর ছোড়ার পর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। বিক্ষোভকারীদের গণহারে আটক করছে পুলিশ। সাংবাদিক গ্রেফতারে ক্ষমা প্রার্থনা করে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর সিএনএন সাংবাদিক ওমর জিমেনেজকে পুলিশ মুক্তি দিয়েছে।

২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনোপোলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর এ বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।

ফ্লয়েডের গাড়িতে জাল নোট থাকার খবর পেয়ে তাকে আটক করতে গিয়েছিল পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য।

নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড।

তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মিনোপোলিস উত্তাল হয়ে ওঠে। মঙ্গল ও বুধবার বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান। বেশ কয়েকটি ভবন ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় মিনোপোলিস পুলিশ বিভাগ চার কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করে। তাদের মধ্যে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু তুলে দেয়া ৪৪ বছর বয়সী ডেরেকও আছেন। গ্রেফতারের পর ডেরিকের বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা। ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘ভয়ানক ব্যাপার’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের ছবি হাতে বিক্ষোভ দেখান ও ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’ স্লোগান দেন। এ প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটের ডাউন টাউনে বিক্ষোভরত এক ব্যক্তি অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

ডেট্রয়েট পুলিশ বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি গাড়ি থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি বিক্ষোভরত জনতার মধ্যে এক ব্যক্তিকে (১৯) গুলি করে পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ডেট্রয়েট পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় পুলিশ জড়িত নয়।

লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্কেও শুরুর দিকে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি তুলে ধরেছেন। তবে সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment