Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
March 28, 2024
Homeআন্তর্জাতিককয়েক দশক ধরেই প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস

কয়েক দশক ধরেই প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস

কয়েক দশক ধরেই প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস

গবেষকরা জানিয়েছেন, চীনের উহানে প্রথম শনাক্তকরণের অনেক আগে থেকেই প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে ছড়াচ্ছিল এ প্রাণঘাতী ভাইরাস।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দাবী করেছেন বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস অনেক বছর আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল।
 
তাদের দাবি, বছরের পর বছর, এমনকি কয়েক দশক ধরেই প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।
 
গবেষণাটি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিটিটের ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন, স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্র– র‌্যামবাউট, নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ান লিপকিন, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডওয়ার্ড হোমস এবং নিউ অরলিন্সের তুলানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবার্ট গ্যারি।
 
গত ১৭ মার্চ তাদের গবেষণাপত্রটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত হয়। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
 
গবেষকরা জানিয়েছেন, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়ার বহু আগ থেকেই প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে।
 
গবেষণায় ওই বিশেষজ্ঞরা দেখতে পান, চীনের উহানে প্রথম শনাক্তকরণের অনেক আগে থেকেই প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে ছড়াচ্ছিল এ প্রাণঘাতী ভাইরাস। তবে অন্য আশংকাও থাকতে পারে।
 
বিজ্ঞানীদের মতে, করোনভাইরাস একটি অনন্য মিউটেশন (জিনম সিক্যুয়েন্স) বহন করে, যা সন্দেহজনক প্রাণী হোস্টে পাওয়া যায় নি।
 
কিন্তু মানুষের মধ্যে বারবার ও ছোট-গুচ্ছে সংক্রমণের সময় মিউটেশন বহন করতে পারে।
 
তাই তাদের ধারণা, এ ভাইরাসটি হয়ত বহু বছর আগ থেকেই মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল।
 
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের পরিচালক ড. ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, ‘গবেষণায় একটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি বা দৃশ্যের কথা বলা হচ্ছে। বলা হয়, করোনাভাইরাসটি মানুষের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হওয়ার আগেই প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছিল। তারপর বছরের পর বছর বা সম্ভবত কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে ক্রমবিকাশের মাধ্যমে ভাইরাসটি শেষ পর্যন্ত মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ভয়াবহ প্রাণহানিকর রোগে পরিণত হয়।’
 
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে তার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
 
এদিকে ইতালির এক গবেষকের দাবি, গত বছরেই চীনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।
 
মিলানের মারিও নেগরি ইন্সটিটিউট ফর ফার্মাকোলজিক্যাল রিসার্চের পরিচালক গুয়েসেপ্পে রেমুজ্জি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওকে বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ‘খুবই আশ্চর্য ধরনের নিউমোনিয়া’ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে।
 
কীভাবে ইতালিতে এ ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
 
রেমুজ্জি বলেন, ‘যে রোগের কোনো অস্তিত্ব নেই তার বিরুদ্ধে লড়াই করা খুবই কঠিন। বর্তমানে করোনা সংক্রমিত শহর লম্বার্ডিতে নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। যে সময়ে উহানের মানুষও এ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হয়নি।’
 
৩১ ডিসেম্বর উহানের ডাক্তাররা রহস্যময় নিউমোনিয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
 
উহান ইন্সটিটিউট অব ভিরোলজির প্রধান শাই ঝেংলি ও তার দলের বিশেষজ্ঞরা জানান, চীন-মিয়ানমার সীমান্তের একটি পাহাড়ি গুহায় পাওয়া বাদুড় থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে।
 
চীনের গোয়াংঝউ ও হংকংয়ের পৃথক বিশেষজ্ঞ দলের দাবি, প্যাঙ্গোলিন নামের এক ধরনের প্রাণী থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।
 
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. টমি ল্যাম বলেছেন, চীনে পাচার হওয়া মালয়ান প্যাঙ্গোলিনের মধ্যে এমন দুই ধরনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে, যা মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সরাসরি ‘হোস্ট’ হিসেবে প্যাঙ্গোলিনের ভূমিকা আরও নিশ্চিত হওয়ার দরকার আছে। ♦
 
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment