ঢাকা মেডিকেলে মৃত ঘোষণার পর দাফনের সময় কেঁদে উঠল নবজাতক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করা এক নবজাতক দাফনের সময় কেঁদে উঠেছে। পরে তাকে ফের ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি হাসপাতালটির নবজাতকদের জন্য বিশেষায়িত এনআইসিইউতে ভর্তি আছেন।
তবে শিশুটির বর্তমান অবস্থা জানতে স্বজনরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখার অনুমতি দেয় নি। হাসপাতাল পরিচালক এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, একটি জীবিত শিশুকে কেন চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করল, তা তদন্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালেঙ্গা গ্রামের সন্তান সম্ভাবনা গৃহবধূ শাহিনুরকে তার স্বামী ইয়াসিন মোল্লা গত তিনদিন আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এসে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। ওই ওয়ার্ডে শাহিনুর শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ভোরের দিকে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, জন্মের পরপরই ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে ওই নবজাতককে একটি প্যাকেটে ভরে তার বাবা ইয়াসিনের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসক বলেন, নবজাতকটি মৃতই জন্ম নিয়েছে।
পরে ওই প্যাকেটে থাকা নবজাতকটিকে নিয়ে সকালে ইয়াসিন আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানে অর্থনৈতিক কারণে তাকে দাফন করতে না পারায় একপর্যায়ে ইয়াসিন নবজাতকটিকে নিয়ে বসিলা কবরস্থানে গেলে সেখানের লোকজন তাকে দাফনের জন্য প্যাকেট খুললে নবজাতকটি নড়ে ওঠতে দেখেন। এ সময় চমকে যান ইয়াসিন। পরে তিনি দ্রুত নবজাতককে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
বর্তমানে নবজাতকটি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানের চিকিৎসকরা বলেছেন, নবজাতকের অবস্থা তেমন ভালো না, যে কোনও সময় কিছু ঘটে যেতে পারে।
ইয়াসিন মোল্লা বলছেন তিনি তখনি আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে ফেরত নিয়ে আসেন তার নবজাতক সন্তানকে।
এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিলুফার সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি দু দিনের ছুটিতে আছেন বলে। তবে নবজাতকের বিষয়টি হাসপাতালে পরিচালক স্যার তাকে অবগত করেছেন। ওয়ার্ডের দায়িত্বে যিনি আছেন তাকে বিষয়টি অবগত করেছেন বলে জানান।❐