নিউ ইয়র্কে শ্রমিকদের চেয়ে নার্সিং হোম কর্মীরা ভ্যাকসিন পেতে আগ্রহী
জাহান আরা দোলন: বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে যখন ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়া হলো, খুব অল্প পরিমাণে পাঠানো হয়েছিল।
নিউ ইয়র্কের আর্চার কেয়ার নার্সিং হোমস অ্যান্ড ডে কেয়ার সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা তখন এ বিষয়ে জানতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ মেডিকেল অফিসার ড. ওয়ালিড মিশেলেন জানান, তারা নিজেদের উদ্যোগে সকল রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও ব্যাপক প্রচারণা চালান। ফার্মস্ক্রিপ্ট নামে একটি সংস্থার সহযোগিতায় তাদের আমন্ত্রণ জানান— এরপর আর্চার কেয়ার ছোট ছোট পুস্তিকা ছেপে স্টাফ মিটিং ও ওয়েবে পরিচালিত সভায় করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করে।
প্রতিষ্ঠানটি ১৫ মার্চের মধ্যে ৭৫ ভাগ অধিবাসী ও নিজস্ব কর্মীদের টিকা দেওয়ার একটি বাস্তবসন্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
তারা জানায়, ইতোমধ্যে ৭৮ ভাগ মানুষ সাইন আপ করেছে ও গেল মাসে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
তবে সংখ্যাটি স্টাফদের তুলনায় অনেক কম। এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ ভাগ স্টাফকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী নিউ ইয়র্ক রাজ্য জুড়ে গ্রুপ ১এ-এর স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের এখন পর্যন্ত মাত্র ২৩ ভাগ লোককে টিকা দেওয়া হয়েছে।
এর প্রধান কারণটি হলো, সীমিত সরবরাহ। তবে পিছিয়ে পড়ার আরেকটি কারণটি হলো, ‘কর্মচারীদের’ দ্বিধা ও অনিচ্ছা।
রাজ্য থেকে হাসপাতালের কর্মীদের ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতার কিছু পরিসংখ্যান জানানো হয়, কিন্তু যারা নার্সিংহোমগুলোতে কাজ করেন, কেন্দ্রগুলোতে আবাসিক ও অন্যান্য সহায়তা করেন, তাদের কি অনুপাতে টিকা দেওয়া হয়েছে তা তারা বলেন নি। অধিবাসী ও কর্মীদের ভ্যাকসিন দিতে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রিটেইল ফার্মাসিগুলো নার্সিংহোমে যাচ্ছে। কিন্তু কাজটি তারা খুব সতর্কতার সঙ্গে করেছে।
এগুলো এমন সব প্রতিষ্ঠান যারা রাজ্যের অলাভজনক নার্সিং হোমগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে।
এই নার্সিং হোমগুলো মানুষকে উৎসাহিত করতে একসঙ্গে এক তৃতীয়াংশ কর্মী-সদস্যদের টিকা দিতে বলেছিল।
সেসময় এ নিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।❐
গোথামিস্ট ডট কম