Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
March 29, 2024
Homeপ্রধান সংবাদবাংলাদেশে বাবা-মেয়ে দুই বিজ্ঞানীর করোনার জিন রহস্য আবিষ্কার

বাংলাদেশে বাবা-মেয়ে দুই বিজ্ঞানীর করোনার জিন রহস্য আবিষ্কার

বাংলাদেশে বাবা-মেয়ে দুই বিজ্ঞানীর করোনার জিন রহস্য আবিষ্কার

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনার জিন রহস্য আবিষ্কার করেছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই জিন রহস্য আবিষ্কারের গবেষণায় নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান প্রখ্যাত অণুজীব বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহা ও তার মেয়ে ড. সেজুঁতি সাহা।

গেল ১২ মে দুই বাংলাদেশি ড. সমীর সাহা ও তার মেয়ে ড. সেঁজুতি সাহা প্রতিষ্ঠিত চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন হয়েছে। এই বাবা-মেয়েই দেশে সর্বপ্রথম করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটন করেছেন।

এর ফলে বাংলাদেশে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি ও ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানান গবেষকরা।

এই জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাসটির রূপান্তরও বোঝা যাবে। যা করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। কাজে লাগবে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারেও।

চাইল্ড রিসার্চ হেলথ ফাউন্ডেশন জানায়, তারাই সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেছে। করোনার জিন রহস্য মাধ্যমে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারবেন গবেষকরা।

অণুজীব বিজ্ঞানী ড. সেজুঁতি সাহা।

প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লন্ডনে কর্মরত ডা. সেজুঁতি সাহা গণমাধ্যমকে জানান, আমরা শুধুমাত্র একটি জিনোম সিকোয়েন্স বের করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী সপ্তাহে আরও একটি জিনোম সিকোয়েন্স শেষ হবে।

তিনি জানান, প্রথমবারের মতো করা জিনোম সিকোয়েন্সে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ভাইরাসটির সঙ্গে তাইওয়ান, সুইডেন, শ্রীলঙ্কা ও রাশিয়ার করোনাভাইরাসের সাদৃশ্য রয়েছে। এই ভাইরাসটির এখন পর্যন্ত ৯ বার মিউটেশন হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে ঘরের বাইরে অবস্থানকালে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, ঘন ঘন সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া, বয়স্কদের বাসায় অবস্থান করা এবং অন্য সকলকেও পারতপক্ষে বাসা থেকে বের না করার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. সেজুঁতি সাহা।

এই অণুজীব বিজ্ঞানী বলেন, আমরা গবেষণা করে দেখেছি ২০ সেকেন্ডের কম সময় সাবান ব্যবহারে এই জীবাণু ধ্বংস হয় না।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে কাজ করেন ডা. সমীর সাহা। ডা. সমীর সাহা ও ডা. সেজুঁতি সাহা বাবা-মেয়ে। তারা দুইজনই চাঁদপুরের সন্তান। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য আগে থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই দুই বিজ্ঞানীর বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। অর্জনের খাতায় আছে আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি।

অণুজীব বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহা।

এ বিষয়ে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, জিনোম সিকোয়েন্স ভাইরাসটির গতি, প্রকৃতি ও ধরণ সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা দেবে। এর ফলে আমরা জানতে পারব আমাদের এখানে ভাইরাসটি মোকাবেলায় কোন্‌ ধরনের ভ্যাকসিন বা ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর আগে ডেঙ্গুসহ বাংলাদেশের অন্যান্য রোগেরও জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেছে।

ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয় নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়ত ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। খেসারতও দিতে হচ্ছে তাদের।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। সরকার সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে তা দফায় দফায় বাড়িয়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, ড. সমীর সাহা বাংলাদেশে মেনিনজাইটিস এবং নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী দুটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন প্রয়োগে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি দেশের শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রত্যক্ষ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।

শিশু বিশেষজ্ঞের শীর্ষস্থানীয় গবেষক হিসাবে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আক্রমণাত্মক শৈশব রোগের উপর নজরদারি করে চলেছেন।

ড. সাহা ২০১৭ সালে ক্লিনিকাল মাইক্রোবায়োলজির গবেষণার জন্য আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (এএসএম) পুরস্কার লাভ করেন।

এ বছর তিনি ইউনেস্কো কার্লোস জে মাইক্রোবায়োলজিতে ফিনলে পুরস্কার পেয়েছিলেন।

ড. সমীর সাহার জন্ম নোয়াখালীতে হলেও পরবর্তীতে তার পিতা সপরিবারে চাঁদপুর চলে আসেন। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।◉

এই দুই বাংলাদেশি ড. সমীর সাহা ও তার মেয়ে ড. সেঁজুতি সাহাকে নিয়ে কিছুদিন আগে বিল গেটস লিখেছেন নিজের ব্লগ ‘গেটসনোটে’। সেখানে তাদেরকে নিজের নায়ক হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি দেশে তারাই সর্বপ্রথম করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটন করেছেন বলে দাবি করেন।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment