ভারতে গোমূত্রের স্যানিটাইজার
ভারতে সম্প্রতি মহামারীতে মানুষকে জীবাণুমুক্ত রাখতে এবার গোমূত্রের হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান। গোমূত্র ব্যবহার করে গো সেইফ নামের এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার আগামী সপ্তাহে বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির গুজরাট প্রদেশের একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান।
তবে গুজরাটই প্রথম নয়। এর আগে রাজস্থানের একটি প্রতিষ্ঠান গোবর ব্যবহার করে তৈরি মাস্ক বাজারজাত করে। গুজরাটের জামনগরভিত্তিক সমবায় প্রতিষ্ঠান কামধেনু দিব্য আশাধি মহিলা মান্দালি গোমূত্রের স্যানিটাইজার তৈরি করেছে।
গুজরাটের এই প্রতিষ্ঠান দেশটিতে লকডাউনের সময় গোমূত্রের তৈরি গো প্রোটেক্ট নামে একটি সারফেস স্যানিটাইজার এবং বাসাবাড়ি জীবাণুমুক্ত করার জন্য গো ক্লিন নামের তরল ক্লিনার নিয়ে আসে।
নারীদের সমবায়ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের বিপণন শাখা কামধেনু অর্থসেতুর পরিচালক মনিশা শাহ বলেন, ‘আমরা এফডিসিএ থেকে গো-সেইফের লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছি।’ পঞ্চগব্য আয়ুর্বেদের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ শাখায় গোমূত্রের স্যানিটাইজার তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গোমূত্রভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সব উপাদান কামধেনু দিব্য আশাধি মহিলা মান্দালি প্রকাশ করবে না।
তবে এতে নিম এবং তুলসী পাতার মতো বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান মনিশা শাহ। তিনি বলেন, সমাজের একটি অংশ গোমূত্রের ঔষধি গুণাগুণ আছে বলে বিশ্বাস করে। আমরা ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশা করছি।
দেশটিতে লকডাউনের সময় রাজস্থানের গোকৃতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান গোবর থেকে মাস্ক তৈরি করে। সেই সময় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে এই মাস্ক বিতরণ করা হয়। গোকৃতির কর্ণধার ভীম রাজ শর্মা বলেছেন, তিনি গোবরের অন্তত ৮০ হাজার মাস্ক তৈরি করেছেন। সেখান থেকে ৫০ হাজারের বেশী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান ভাল্লাবাহ ক্ষত্রিয় টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোমূত্র ও গোবর থেকে তৈরি করা স্যানিটাইজার ও মাস্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ সারা দেশে এই পণ্যের প্রচারে ভূমিকা পালন করবে।’❐