Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
April 22, 2024
Homeপ্রধান সংবাদভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা

ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা

ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত একশ’ বছরের মধ্যে বিশ্ব সম্ভবত সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। সমগ্র বিশ্বকে সম্মিলিতভাবে এ সংকট মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সম্মিলিত দায়িত্ববোধ এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে অংশীদারিত্বের মনোভাব দরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ায় কভিড-১৯ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসস, ইউএনবি ও বিডিনিউজের।

গণভবন থেকে সম্মেলনে তিনি ‘কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের আঞ্চলিক সহনশীলতা তৈরি’ শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে তিনি অর্থনৈতিক ও জীবিকার ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। ডব্লিউইএফের প্রেসিডেন্ট বর্জ ব্রেন্ড সম্মেলনে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি না এই মহামারি কতদিন চলবে। এটার প্রভাব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই পড়েছে। তবে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সমাজকে আবার সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এই আতঙ্ক ও ভীতি থেকে মুক্তি পেতে জনগণকে সহায়তা এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব জলবায়ুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রয়েছে। এখন করোনাভাইরাস আমাদের অস্তিত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কোনও দেশ একা চলতে পারে না। কোনও দেশের বিচ্ছিন্ন বা আইসোলেশনে থাকাও সম্ভব নয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তার প্রথম প্রস্তাব হলো বিশ্বকে এখন জনগণের কল্যাণ, অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াই ও দরিদ্রদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। কভিড-১৯ পূর্ব অবস্থায় অর্থনীতিকে ফেরাতে হবে। তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। করোনা সংকটের কারণে তাদের অনেকেই আবার দারিদ্র্যের চক্রে পড়তে পারে।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে জি৭, জি২০, ওইসিডি এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থাকে বিশ্বে শক্তিশালী নেতৃত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় প্রস্তাবে বলা হয়, বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের উত্তরণে বাস্তবমুখী কৌশল গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এই সংকটে বিশ্বের অনেক নামিদামি ব্র্যান্ড দায়িত্বশীল আচরণ করছেন না। বাংলাদেশের মতো দেশ যাতে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে সেজন্য কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

শেখ হাসিনার চতুর্থ প্রস্তাবে বলা হয়, অভিবাসী শ্রমিকদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকরা এখন কঠিন পরিস্থিতির মুখে রয়েছেন। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চম প্রস্তাবে বলা হয়, ভবিষ্যতে সম্ভাব্য মহামারির মোকাবিলায় সৃজনশীল সমাধান বের করতে হবে। যেমন এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনার বিস্তার রোধে সরকার জানুয়ারি মাসের শুরুতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমানে দেশের তিন-চতুর্থাংশে প্রায় ৪১ দিন ছুটি রয়েছে। এতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম রাখা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল বাংলাদেশ করোনার কারণে সরবরাহ ও চাহিদা দু’দিক থেকেই অভিঘাতের মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। তবে সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গাকেও সরকার এর অন্তর্ভুক্ত করেছে।◉

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment