মারা গেছেন অভিনয় শিল্পী মুজিবুর রহমান দিলু
জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মুজিবুর রহমান দিলু। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে ৬টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার ভাই প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, কীর্তিমান মঞ্চ ও টেলিভিশান অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে অসীমের যাত্রী হয়েছেন। সে জীবন যুদ্ধে যেমন ছিল এক পরাক্রান্ত সৈনিক, তেমনি ছিল এক বর্ণিল জীবনের অধিকারী। তার আত্মার চির শান্তি কামনাই দেশবাসীদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।’
২০০৫ সালে গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন দিলু। পরে তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেন।
দিলুর অভিনয় শুরু মঞ্চ থেকে। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। ১৯৭৬ সাল থেকে টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন।
বিটিভির কালজয়ী ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তক এর মালু চরিত্রে অভিনয় মুজিবুর রহমান দিলুকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
আতাউর রহমান বলেন, ‘সম্মান প্রদর্শণের জন্য মরদেহটি বিকেল ৩টার দিকে শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এরপর নিজ কর্মস্থান শান্তা মরিয়মে মরদেহটি নিয়ে যাওয়া হবে। বনানী কবরাস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণী এই অভিনয় শিল্পী ১৯৫২ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে জন্ম নেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেন ১৯৭২ সাল থেকে। মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ানো এই অভিনেতা টেলিভিশনেও জায়গা করে নেন সমানভাবে। তবে জীবনের শেষ সময়টাতে অভিনয় থেকে নিজেকে আড়ালে রাখেন। মৃত্যুর আগে শান্ত মরিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
মঞ্চ ও টেলিভিশনে মুজিবুর রহমান দিলুর অভিনীত বেশ কয়েকটি নাটক দর্শক মনে জায়গা করে নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে – ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’। তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক ‘নীল পানিয়া’, ‘মহাপ্রস্থান’, ‘কিছু তো বলুন’, ‘তথাপি’, ‘আরেক ফাল্গুন’। উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে – সময় অসময় এবং সংশপ্তক।❐