মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু
মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সামরিক জান্তার তথাকথিত শাসনমুক্ত হওয়ার পর এটাই সেখানে দ্বিতীয় নির্বাচন।
রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া সাধারণ নির্বাচনের রোহিঙ্গারা তাদের ভোটাধিকার পাচ্ছেন না।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৫ সালের মতো এবারো অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন। তবে বিদেশি নাগরিকের সাথে বিয়ে হওয়া এবং মিয়ানমার ব্যতীত ভিন্নদেশের নাগরিকত্ব থাকা সন্তানের অভিভাবক হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না সুচি।
২০১৫ সালেও নির্বাচনে বিজয়ী সুচি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। দেশটির অবিসংবাদিত এই নেত্রী হয়েছেন ‘স্টেট কাউন্সিলর’।
নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে দুই কক্ষবিশিষ্ট দেশটির সংসদের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে কমপক্ষে ২২১টি আসন এবং হাউজ অব ন্যাশনালিটিস এ কমপক্ষে ১১৩টি আসন জয় করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল এককভাবে অথবা একাধিক রাজনৈতিক দল যুগ্মভাবে এই আসনগুলো পেলে যুক্ত সরকার গঠন করতে পারবে। তবে সংসদের উভয় কক্ষে এক চতুর্থাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনের পাশাপাশি একই সঙ্গে দেশটিতে রাজ্য এবং আঞ্চলিক পর্যায়েও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রাদেশিক পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ আসন নির্ধারিত থাকে সামরিক বাহিনীর জন্য।
নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা পরবর্তীতে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং দুই জন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।❐