যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ওয়াশিনটন থেকে লস এঞ্জেলেসে হিংসার আতঙ্ক
সনজীবন কুমার, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: কে হবেন পরর্বতী প্রেসিডেন্ট? এ নিয়ে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। শিকাগো থেকে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিনটন থেকে লস এঞ্জেলেস জুড়ে এখন বিরাজ করছে হিংসার আতঙ্ক। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে জাতিগত দাঙ্গা, এমন আশঙ্কাও অনেকে করছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবার ভোট দানের হার আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ভোটের সংখ্যার দিক থেকে ইতিহাস সৃষ্টি করছেনে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে এত বেশী ভোট আমরেকিার ইতিহাসে আর কোনও প্রেসিডেন্ট পান নি।
ইতোমধ্যে সাত কোটির ওপরে ভোট পয়েছেনে বাইডনে, এখনো গণনা চলছে।
ফলাফল বেরোলেওে সমস্যা হয়ত সহজে মিটবে না। পুর্নগণনার দাবী উঠবে, লড়াই চলবে পারে আদালতেও।
যে কোনও সময় ঘটতে পারে জাতিগত দাঙ্গা- এমন আশঙ্কাও অনেকে করছেন। যে সব এলাকায় সহিংসতা ছড়ানোর সম্ভবনা রয়েছে, সেখানে সর্বোচ্চ সর্তকতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্বের রাজধানী হিসেবে খ্যাত নিউ ইয়র্ক শহরেও টান টান উত্তজেনা। লুটতরাজ -ভাঙচুরের ভয়ে শহরের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো দিনভর বন্ধ রাখা হয়েছে। বাঙালির রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসসহ বাঙালি অধ্যুষিত অন্যান্য একালাকায় সুনশান পরিবেশ বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়েছে। এবারই প্রথম নির্বাচনের আগেই সিংহভাগ ভোট ডাকযোগে ছাড়া হয়েছে। অনেক ভোট গণনা এখনও বাকি রয়ে গেছে। আরও পরে গণনা শেষ হবে। ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার বেশী সময় পেরোলেও এখনও থিতু হয় নি ভোটফল। ভোট গণনা অব্যাহত রয়ছে।
দ্বিতীয় দফায় ডোনাল্ড ট্রাম্পই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন নাকি আগামী চার বছররে জন্য হোয়াইট হাউসের দখল নিতে চলছেনে জো বাইডনে, তা এখনও কউে বলতে পারছে না ।
হোয়াইট হাউস দখলের লড়াই সমানে সমানে হলেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার পথে বাইডেন। এই মুর্হূতে বাইডনে এগিয়ে রয়েছেন। আপাতত রাজ্যগুলো হলো জর্জিয়া (১৬), মিশিগান (১৬), নেভাদা (৬), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫) আর পেনসিলভেনিয়া (২০)। এগুলো বাদে বাইডেন এগিয়ে ২৬৪ আর ট্রাম্প এখনও ২১৪-তেই আটকে আছেন।
ভোট গণনা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন করে গণনার দাবী নিয়ে আদালতে গিয়েছে তার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা।
সেই সঙ্গে খবর পাওয়া যাচ্ছে ভোটের ফলাফল ঝুলে থাকা রাজ্যে ভোট গণনা নিয়ে যথেষ্ট অশান্তি হবে। ভোটের সর্ম্পূণ ফলাফল আসতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে।❐