যেখানে গল্পের চরিত্রগুলো লেখকের সঙ্গে দেখা করতে আসে
একজন ব্যর্থ পরিচালকের অল্টার ইগো একজন লেখক। এই লেখককে কেন্দ্র করেই গল্প আবর্তিত হয়। একজন লেখকের মানসিক এবং গল্পের চরিত্রগুলো বাস্তব জীবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে। সে ক্ষেত্রে একেকটা চরিত্রের একেক রকম পরিণতি ঘটে।
লেখকের চরিত্রের নাম দেবাঞ্জন মিত্র। নির্মাতা বলেন, এটা মূলত সাইকো সেক্সচুয়াল রিলেশনশিপের গল্প। তার যে নির্দিষ্ট গতিবিদ্যা তা কিভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন ঘটায়, তা নিয়েই গল্প।
কলকাতার পরিচালক অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘লার্জ পেগ’ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটি মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সৈকত ঘোষের কাহিনি অবলম্বনে এই সিরিজের চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন সৈকত ঘোষ এবং পরিচালক নিজেই।
গল্প প্রসঙ্গে অংশুমান বলছেন, ‘এই গল্পে লেখকের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সবই রয়েছে। আমাদের ভেতরের যে কল্পনাগুলো আছে, যা সহজে মানুষের কাছে সচরাচর প্রকাশ করতে করি না সে জন্য আমরা মানুষ। যখন আমি অল্টার ইগো নিয়ে কোনো কাজ করি তখন সেই ভাইভসগুলো বেরিয়ে আসে। সেই ভাইভসগুলো নিয়ে একেকটা এপিসোড তৈরি হয়েছে। ’
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি চরিত্রের সঙ্গে লেখকের নিজের স্ত্রীর অদ্ভুত মিল রয়েছে। কারো সঙ্গে হাতে কিংবা মাথার চুলের, আবার কারো সঙ্গে কথা বলার মিলও পাওয়া যায় । অর্থাৎ প্রত্যেকটা চরিত্রই কিন্তু লেখকের স্ত্রী দ্বারা অনুপ্রাণিত। একটা সময় লেখক যখন কোনো চরিত্রই খুঁজে পান না তখন তিনি নিজের স্ত্রীর কাছে ফিরে যান এবং স্ত্রীকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কী লিখব? কোনো চরিত্রই তো খুঁজে পাচ্ছি না। ’ স্ত্রী নিজের স্বামীকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘লেখার চরিত্র তুমি নিশ্চয়ই পাবে। ’
অংশুমান আরো বলেন, ‘প্রতিটি এপিসোডের শেষে লেখকের স্ত্রী ফিরে ফিরে আসেন । অর্থাৎ প্রতিটি পর্বে দর্শক যা দেখবেন তা সম্পূর্ণ অবাস্তব। এই গল্প দেখতে বসে কখনো কখনো দর্শকদের মনে হতে পারে এই বুঝি স্ত্রীর সঙ্গে লেখকের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে। কিংবা লেখক স্ত্রীকে আড়াল করে পরকীয়া করছেন। আদৌ তা নয়। আর গল্পে যেই নারী চরিত্রগুলো আসছে সেই চরিত্রগুলো আবার লেখকের স্ত্রীর অল্টার ইগো। ’
দ্য ওয়াল থেকে