সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিনের আত্মপ্রকাশ
সাবিনা ইয়াসমিন। আলতাফ মাহমুদের সুরে ‘মধু জোছনার দীপালি’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে সেই যে ১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া জহির রায়হানের ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্রে গান গেয়ে শুরু করলেন, এরপর আর থামেন নি কখনও। মসৃণ গতিতে চলতে চলতে এই ২০১৯ সালে এসে পৌঁছে গেছেন। এখন নিজের নামকেও অতিক্রম করে ফেলেছেন। দেশ বিদেশে তাকে সকলে কোকিলকণ্ঠী নামেই চেনেন। ৫২টি বছর ধরে কেবল গেয়েই চলেছেন। কিন্তু এবার বাঁক নিতে চলেছেন নতুন দিকে। সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে তার।
বরেণ্য অভিনেত্রী-নির্মাতা সারাহ বেগম কবরীর সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’র সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন সাবিনা ইয়াসমিন।
সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘এ পর্যন্ত অসংখ্য অনুরোধ পেয়েছি। তবে এবার আর কবরীর অনুরোধ ফেলতে পারি নি। তার অনুরোধ রাখতে কঠিন এই কাজটি হাতে নিয়েছি। আমি জানি কাজটি অনেক কঠিন, তাই খুব সচেতনভাবেই করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সুর ও সংগীতে অন্য শিল্পীরা গাইবেন, ভাবতেই আনন্দ লাগছে। রোমাঞ্চকর ব্যাপার! নতুন বছরে গান তৈরির কাজ শুরু হবে। পরিচালক যেহেতু কবরী, ফলে আমার কাজটা স্বাধীনভাবে করতে পারব।’
অন্যদিকে কবরী বলেন, ‘শুরুতে ভাবলাম আমাদের সময়ের কোনও সঙ্গীত পরিচালককে নেওয়া যায় কিনা। দেখলাম, তারা প্রায় সবাই অসুস্থ। এরপর মনে হলো, সাবিনা এক জীবনে এত গান গেয়েছে। এত এত গুণী সংগীত পরিচালকের সান্নিধ্য পেয়েছে। তাহলে কেন সাবিনা ইয়াসমীন নয়? তার সঙ্গে আমার চার দশকের বন্ধুত্ব। তাকে প্রস্তাব দিলাম। রাজি হচ্ছেই না। একটা সময় রাজি হয়েছে। আমার গল্পের যে চাহিদা, তাতে সাবিনাই সবচেয়ে ভালো সঙ্গীত পরিচালনা করতে পারবে। এটা আমার বিশ্বাস।’
তিনি জানান, নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার শুটিং। চলচ্চিত্রটিপরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন কবরী নিজেই।