Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
November 22, 2024
হেডলাইন
Homeপ্রধান সংবাদগুলিস্থানে বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

গুলিস্থানে বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

গুলিস্থানে বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

গুলিস্তানে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছেন শতাধিক।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে নর্থ সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ের ওই ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দিন মনি শর্মা জানান।

ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে। তবে কীভাবে এ বিস্ফোরণ ঘটল তা জানা যায়নি। ডিএমপির কাউন্টারিজম ইউনিটের বম ডিসপোজাল ইউনিট এবং সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশের একটি দল তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে।

সাত তলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নিচের দুটো তলায় স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। তার উপরে ছিল ক্যাফে কুইন নামের একটি খাবার হোটেল। প্রথম দুটি তলার ছাদ ধসে আন্ডারগ্রাউন্ডে পড়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আকতার ডটকমকে বলেন, ভবনের নিচে অনেকে আটকা পড়ে আছে। ভবন কেটে উদ্ধার করতে হবে। সে অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ভবন ভাঙার ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা সাভার পরিবহনের একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্ফোরণের ধাক্কায়।

হাফিজ আকতার বলেন, “অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জীবনহানি অনেক ঘটেছে। সাম্প্রতিককালে এ ধরণের বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”

পাশের সাকি প্লাজা নামের পাঁচ তলা ভবনের ওপরে চারটি ফ্লোরে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্থান শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কাচ ভেঙে ব্যাংকের অফিস কক্ষগুলোর পর্দা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ডটকমকে বলেছেন, ‘‘সিদ্দিক বাজার আমাদের যে শাখাটি রয়েছে, তার পাশের ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেই ধাক্কায় ব্যাংক ভবনের কাচ সম্পূর্ণ গুড়ো গুড়ো হয়ে নিচে পড়েছে। উড়ে আসা কাচের টুকরার আঘাতে কয়েকজন ব্যাংক কর্মী আহত হয়েছেন।”

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ভবনের নিচের কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে তারা যেতে পারছেন না।

“সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এসেছেন। একটু স্টেবল হলে নিচের দিকে অভিযান চালাবো আমরা।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিস্ফোরণ যখন ঘটে মার্কেট তখন খোলা ছিল; ক্রেতা, বিক্রেতা, কর্মচারীরা ছিলেন। কতজন ভেতরে আটকা পড়ে আছে তা তাদের জানা নেই। সেনাবাহিনীর সদস্যরা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছেন, তাদের সব যন্ত্রপাতি দিয়ে নিচতলা এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।”

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment