বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশন (সিএফটিসি) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো বিনিময় প্রতিষ্ঠান বিন্য্যান্স ও তার সিইওর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তারা ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনকে ফাঁকি দিয়েছেন।
বিন্যান্স ও তার সিইউ চ্যাংপেং ঝাও-এর পক্ষ থেকে অবশ্য সিএফটিসি-র এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএফটিসি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিটকয়েন জায়ান্ট বিন্যান্স ও তার প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাও-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইনকে ফাঁকি দিয়ে ‘বেআইনিভাবে’ ব্যবসা করার অভিযোগে মামলা করে।
তবে চীনে জন্ম নিয়ে মাত্র ১২ বছর বয়সে ক্যানাডায় পাড়ি জমানো চ্যাংপেং সিএফটিসির মামলাকে ‘অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়েছে অভিযোগটা অসম্পূর্ণ কিছু তথ্য দিয়ে সাজানো। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা অনেক বিষয়ের সঙ্গেই আমরা একমত নই।”
করোনা মহামারির সময় খুব দ্রুতই ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবসা বিস্তার লাভ করে। বিন্যান্সও তখন নিজেদের ব্যবসা অনেক বাড়িয়েছে।
এ মুহূর্তে সারা বিশ্বে ক্রিপ্টোর মোট এক ট্রিলিয়ন ডলার বা ৯২৪ বিলিয়ন ইউরোর ব্যবসা রয়েছে। ২০২১ সালে, অর্থাৎ করোনা শুরুর সময়ে মাত্র এক বছরে অবশ্য তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যবসা করেছিল তারা। সে বছর মোট তিন ট্রিলিয়ন ইউকরোর ব্যবসা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত আরও মামলা
কয়েকদিন আগে চীনের উদ্যোক্তা জাস্টিন সান-এর বিরুদ্ধে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রির অভিযোগ তোলে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। তখন অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান, র্যাপার অ্যাকন, সোলজা বয়-সহ বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধেও বেআইনিভাবে ডিজিটাল মুদ্রা ক্রয়ে মানুষকে উৎসাহিত করার অভিযোগ তোলা হয়। বিন্যান্স এবং তার সিইও চ্যাংপেং-এর মতো জাস্টিন সান-ও তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তখন অস্বীকার করেছিলেন।