ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবনসহ সরকারি স্থাপনায় হামলা
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকরা। দলবদ্ধ হয়ে প্রেসিডেন্ট ভবন আক্রমণ করেন তারা। এ সময় ঘিরে ফেলা হয় ব্রাজিলের কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টও। খবর- রয়টার্সের।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বলছে, ব্রাজিলের ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকেরা দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্টে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা যেভাবে ক্যাপিটলে হামলা ও তাণ্ডব চালিয়েছিল, ব্রাজিলে বলসোনারো সমর্থকরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা অনেকটা তেমনই।
স্থানীয় সময় রবিবার (৮ জানুয়ারি) ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় বলসোনারোর উগ্র সমর্থকেরা পুলিশি বাধা অমান্য করে দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে কংগ্রেস ভবন, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্ট ভবন থেকে থেকে হামলাকারীদের সরিয়ে দিয়ে এই ভবনগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। তবে ভবনগুলো ছেড়ে যাওয়ার আগে সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
গত বছর কট্টর দক্ষিণপন্থি বোলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলে ক্ষমতায় আসেন বামপন্থি লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় এই হামালার জন্য তিনি আগের প্রেসিডেন্টকেই দায়ী করেছেন। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লুলা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রাজিলের হলুদ, সবুজ পতাকা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে এগোচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে তারা ঢুকে যাচ্ছেন ভবনের ভেতর। ব্যাপক মানুষ জড়ো হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভবনের ছাদে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বোলোসোনারো এখন পর্যন্ত নিজের হার স্বীকার করেননি। বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আয়োজিত নির্বাচনে পরাজয়কে তিনি ভোট গণনায় কারচুপি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও অক্টোবরে পরাজয়ের পরেই দেশ ছেড়েছেন বোলসোনারো। তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় থাকেন, যেখানে রয়েছেন ট্রাম্পও।
হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।