শাহ্ জে. চৌধুরীকে বিশেষ সন্মাননা জানালেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: রূপসী বাংলা ও অনুস্বর সম্পাদক ও শাহ্ জে. চৌধুরীকে নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস। গত ২২ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসকে উপলক্ষ্য করে মেয়র অ্যাডামস ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ মান্থ’ শিরনামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে নিউ ইয়র্কের কোনো মেয়রের পক্ষ থেকে এটিই প্রথম আয়োজন। এই অনুষ্ঠানে নিউ ইয়র্ক অভিবাসী বাংলাদেশীদের মধ্য থেকে কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে এরিক অ্যাডামস এটি একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত যে আমরা আজ বাংলাদেশী ঐতিহ্যকে স্বীকার করে নিচ্ছি।
মেয়র এরিক বলেন, আমেরিকায় আপনি এখানে শিক্ষায় বিশ্বাসী, জননিরাপত্তায় বিশ্বাসী, পরিবারে বিশ্বাসী। আমি কোন্ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বর্ণনা করছি তা নিয়ে কথা বলতে আপনার কষ্ট হবে কারণ বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের যাত্রা একই। আপনি যদি প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর দিকে তাকান, আপনি দেখতে পাবেন আমেরিকান স্বপ্নে অংশ নিতে তারা পাহাড় পাড়ি দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। কেননা আমরা এখানে এসেছি কারণ আমরা বিশ্বাস করি এখানে সুযোগ রয়েছে। তারাও সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে চায় যে স্বপ্ন আপনিও দেখছেন।
তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের এশীয় উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটির কথা কখনও ভুলব না।
শাহ্ জে চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মেয়র এরিক নিউ ইয়র্কের সন্মানিত একজন মানুষ হিসেবে আমার মতো অভাজনকে সন্মানিত করেছেন। তিনি আমাকে যতটা সন্মান জানিয়েছেন, আমার ভেতর থেকে আমি তারচেয়ে অনেক অনেক বেশি সন্মানিত হয়েছি। কেননা আজকের এই অর্জন আমার একলার অর্জন নয়। এই অর্জন আমাদের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থেকে যারা যারা নিরলস কাজ করে চলেছেন- তাদের সকলের।
তিনি বলেন, এই সন্মাননা আমি সকল সহকর্মী ও দেশের সকল মানুষকে উৎসর্গ করলাম। পাশাপাশি সকলের কাছে অনুরোধ, ঠিক এভাবেই আমাকে সমর্থন জানাবেন, উৎসাহিত করে যাবেন যেন এভাবেই দেশের একজন অতি ক্ষুদ্র একজন প্রতিনিধি হিসেবে দেশকে সন্মানিত করে যেতে পারি। একজন বাঙালী হিসেবে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাভাষী সকল মানুষের অর্জন। কেননা আমি কেবল নিউ ইয়র্কে একজন অভিবাসী নই, আমি আমার দেশের ক্ষুদ্রতম একজন প্রতিনিধি।
উল্লেখ্য শাহ্ জে. চৌধুরী নিউ ইয়র্কের শাহ্ ফাউন্ডেশন ও রূপসী বাংলা এন্টারটেইনমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট।