অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর হতে আবেদন ইমরান খানের
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার দল রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও বরিস জনসনও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা জুলফিকার বুখারি এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘ইমরান খানের নির্দেশ অনুযায়ী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের চ্যান্সেলর নির্বাচনে তার আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
আমরা একটি ঐতিহাসিক প্রচারণার জন্য সবার সমর্থন প্রত্যাশা করছি।’
এর আগে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইমরান ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র। তিনি ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্যারিসন শহরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তিনি একাধিক মামলায় জামিনের চেষ্টা করছেন, যেগুলোর মধ্যে দুর্নীতি ও সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে। তবে ইমরান খান এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া ইমরান খানের দুটি দণ্ড বাতিল করা হয়েছে এবং তৃতীয় একটি আদালত স্থগিত করেছেন।
৭২ বছর বয়সী ইমরান খানকে তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নির্বাচনের দায়িত্ব সেখানকার কনভোকেশন সদস্যদের ওপর। চ্যান্সেলরের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক যে কাওকে কনভোকেশনের কমপক্ষে দুজন সদস্যের মনোনয়ন পেতে হবে, যাতে তাকে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া অটাম টার্মের তৃতীয় সপ্তাহে অনলাইন ব্যালটের মাধ্যমে কনভোকেশনকে নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচন করতে বলা হবে। নতুন চ্যান্সেলর ১০ বছরের জন্য এই পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
ঐতিহ্যগতভাবে চ্যান্সেলরের পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত। প্রায়ই রাজনীতিবিদরা এ পদে দাঁড়ান।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ভয়েস অব আমেরিকা