আটকের তথ্য টুইট করায় নাইজেরিয়ান নারীকে জেল দিল আমিরাত
এক নাইজেরিয়ান নারীকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার তার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের জন্য এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ওই নারী টুইটারে দুনচিচি নামে লেখেন। তিনি তার পোস্টে জানিয়েছিলেন, কিভাবে কিছু নাইজেরিয়ান নাগরিককে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছিল।
৩১ আগস্ট ওই নারী টুইটারে পোস্ট করেছিলেন যে তার বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাকে অন্যান্য নাইজেরিয়ানের সঙ্গে আটক করা হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আছি। এখানে পৌঁছানোর পর আমাকে এবং বৈধ ভিসাসহ কিছু নাইজেরিয়ানকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা কী করব তার কোনো ব্যাখ্যা বা তথ্যই দেওয়া হয়নি। আমাকে সাহায্য করুন। আমাদের এখানে ২০ জনেরও বেশি আটকা রয়েছেন।’
জেরিডাবলস নামের অন্য একজন টুইটার ব্যবহারকারী ওই নারীর আত্মীয় দাবি করে শনিবার জানিয়েছেন, ওই নারীকে দুবাইয়ে তার আগের পোস্টের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অপরাধের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। দুঃখজনকভাবে আপনাদের জানাতে হচ্ছে যে দুনচিচিকে ২২ অক্টোবর দুবাইয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার পরিবার বিধ্বস্ত এবং নাইজেরিয়া তাকে রক্ষা করেনি। ’
তিনি জানিয়েছেন, দুনচিচি পারিবারিক ভিসায় দুবাই গিয়েছিলেন এবং তার সাথে তার বোন ছিলেন। কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি নাইজেরিয়ায় ফেরত আসার সময় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই নারী তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে টুইটারে পোস্ট করেছিলেন, যা আমিরাতে সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে। তিনি ভিডিওটি মুছে ফেলতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ তাকে জেলে পাঠায়।
ওই নারীর পরিবার নাইজেরিয়ার আবুজায় দুবাই কনস্যুলেট অফিসে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করেছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: নিউজওয়্যার এনজিআর