আটলান্টিক সিটিতে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন
আটলান্টিক সিটি প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটির ফ্লোরিডা অ্যাভিনিউয়ের শ্রী শ্রী গীতা সংঘের উদ্যোগে গত ১১ অক্টোবর, সোমবার থেকে ১৫ অক্টোবর, শুক্রবার পর্যন্ত শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে। তিথি মতে এ সময়ের মধ্যে পূজার যাবতীয় শাস্ত্রীয় কর্মযজ্ঞ শেষ করা হয়।
দুর্গাপূজার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল পূজার্চনা, আরতি, আয়োজক সংগঠনের সদস্যদের পরিবেশনায় ধর্মীয় সংগীত ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। এছাড়া করোনা মহামারীতে গীতা সংঘের সদস্যরা সহ অন্য যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
করোনার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে আবাল বৃদ্ধবনিতার বাহারি সাজ ও নয়নাভিরাম পোশাক-আশাকে দুর্গাৎসব উপলক্ষ্য করে প্রবাসী হিন্দুদের সব পথ এসে যেন মিশেছিল মন্দির প্রাঙ্গণে। আনন্দলোকের মঙ্গলালোকে অন্যরকম অনুভূতি আর ভিন্নতর ভালোবাসায় উদ্বেলিত হোক সব প্রবাসী হিন্দুর মনপ্রাণ— এ ছিল সবার অন্তরের কামনা।
পুরাণে দেবী দুর্গার আবির্ভাব তত্ত্বে বলা হয়েছে, সমাজের সব অশুভ শক্তির বিনাশে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব। ত্রেতাযুগে অসুর কূলের দাপটে মানবজাতি যখন উৎকণ্ঠিত তখন মানব কল্যাণে এই ধরাধামে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র। তিনি পিতৃ আদেশে বনবাসে থাকাকালে লঙ্কেশর রাবণ তাঁর স্ত্রী সীতাকে অপহরণ করে লঙ্কায় লুকিয়ে রাখেন। লঙ্কাপুরি থেকে প্রিয়তমা স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে শ্রী রামচন্দ্র শরৎকালে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান করেন। বসন্তকালের পরিবর্তে শরৎকালে দেবী দুর্গাকে আহ্বান করায় এই পূজাকে ‘অকালবোধন’ বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শরৎকালে দুর্গাপূজার প্রচলন হয়।
সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস, অসুর শক্তি বিনাশকারী দেবী দুর্গার আরাধনার মধ্য দিয়ে সমাজ থেকে সব পাপ দূর হয়ে যাবে, সমাজে ফিরে আসবে শান্তি।