Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
June 15, 2025
হেডলাইন
Homeপ্রধান সংবাদআবদুল হামিদ কিভাবে দেশ ছাড়লেন, তদন্তে কমিটি

আবদুল হামিদ কিভাবে দেশ ছাড়লেন, তদন্তে কমিটি

আবদুল হামিদ কিভাবে দেশ ছাড়লেন, তদন্তে কমিটি

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দর দিয়ে কিভাবে বিদেশ গেলেন এবং এ ক্ষেত্রে কারও কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা, তা তদন্তের জন্য তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। আর দুই সদস্য হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহণ ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বুধবার রাতে থাইল্যান্ডে যান। থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি দেশ ছাড়েন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তার দেশত্যাগ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরপর এই ঘটনায় তার নিজের জেলা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং কিশোরগঞ্জে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একজন উপপরিদর্শক ও এসবির একজন সহকারী উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও করেছে পুলিশ।

এখন তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করল সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, এই কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটি তিনটি বিষয় পর্যালোচনা করবে। এগুলো হলো সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কিভাবে বিদেশ গমন করেছেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তা নির্ধারণ করা এবং সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সে সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

এসব কাজ করার লক্ষ্যে এই কমিটি প্রয়োজনীয় সব দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি, সাক্ষ্যপ্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাতগ্রহণ করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সব সংস্থা কমিটির নির্দেশাবলি পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে বাধ্য থাকবে।

কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য যুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment