আরেক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরব
সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের কারণে আরো এক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। আদালতের নথি অনুসারে সাজাপ্রাপ্ত নুরাহ বিনতে সাইদ আল-কাহতানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দেশের ক্ষতি করেছেন। এই মাসে একই রকম আরো একটি রায় দেওয়া হয়েছিল। খবর দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।
ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌদি পিএইচডি শিক্ষার্থী সালমা আল-শেহাবকেও এই মাসে একই অভিযোগে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নুরাহ বিনতে সাইদ আল-কাহতানি সৌদি আরবের অন্যতম বৃহত্তম আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য। তার বিরূদ্ধে এর আগে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এই মাসের শুরুতে একটি বিশেষ ফৌজদারি আদালত দেশটির সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার অপরাধ আইনের অধীনে আল-কাহতানিকে ৪৫ বছর সাজা প্রদান করেন। এই আদালত সাধারণত রাজনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার মামলাগুলো পরিচালনা করেন। আল-কাহতানি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আপিল করেছিলেন, তার পরেই তাকে এই সাজা দেওয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কার্যকলাপের কথা উল্লেখ করা চার্জশিট অনুসারে বিচারকরা আল-কাহতানিকে ‘সমাজের সংহতি ব্যাহত করার’ এবং ‘সামাজিক কাঠামোকে অস্থিতিশীল করার’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তাদের অভিযোগ অনুসারে আল-কাহতানি ‘তথ্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জনশৃঙ্খলাকে বিক্ষুব্ধ করেছে। ’
এদিকে আল-কাহতানি অনলাইনে কী পোস্ট করেছেন বা কোথায় তার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে তা এখনো অস্পষ্ট। ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউয়ের (ডিএডাব্লিউএন) মতে, তাকে ২০২১ সালের ৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। (ডিএডাব্লিউএন)
ডিএডাব্লিউএনের আঞ্চলিক পরিচালক আবদুল্লাহ আলাউদ বলেছেন, ‘একটি বিশেষ ফৌজদারি আদালত স্থাপন করে নতুন বিচারকদের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার একটি নতুন উপায় বের করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ’
আরেকটি ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী দ্য ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভ আল-কাহতানির এই দীর্ঘ কারাদণ্ডকে আক্রোশজনক বলেছেন এবং নিন্দা করেছেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষকে মন্তব্যের অনুরোধ জানালে তারা কোনো জবাব দেননি।
এনপিআর।