ইসরায়েলিদের দাবি সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি নেই নেতানিয়াহুর
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আট মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় প্রায় ৩৮০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের কাছেও জিম্মি রয়েছেন অন্তত ২৫০ জন ইসরায়েলি।
এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক দেশ চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এছাড়া যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলের তেল আবিবে বিক্ষোভ করছেন সে দেশের হাজারো জনগণ। কিন্তু কোনো কিছুতেই কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি হামাস পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে আসতে সম্মত না। খবর আল জাজিরার।
এদিকে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। তবে গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে এমন যে কোনো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস ‘ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে’ এখনও প্রস্তুত আছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের চালানো প্রচেষ্টা এ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করতে পারেনি। যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে দায়ী করেছে।
হামাস বলছে, এ বিষয়ে যে কোনো চুক্তির মাধ্যমে অবশ্যই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে হবে আর তা গাজা থেকে ইসরায়েলির বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করবে। অপরদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তারা শুধু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতেই সম্মত হবে।
ইসরায়েলের শর্ত মেনে নিতে হামাসকে চাপ প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সামলোচনা করেছেন হামদান। তিনি বলেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা ভূখণ্ড থেকে (ইসরায়েলি বাহিনীর) ব্যাপক প্রত্যাহার ও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া বন্দি বিনিময় চুক্তি নিশ্চিত করা যে কোনো প্রস্তাবে হামাস আবারও ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত।
এদিকে শনিবার (২৯ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির চুক্তি নতুন করা লেখা হচ্ছে। দুপক্ষের কেউ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হওয়ায় নতুন করে কিছু পরিবর্তন আসছে এ চুক্তিতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রস্তাবিত জিম্মি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি নতুন করে প্রস্তাব করছে। এতে চুক্তির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হচ্ছে। এ অনুচ্ছেদে প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।