কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ির ধাক্কা, নিহত ১৫
ভারতে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনটির শেষের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আজ সোমবার সকালে নীচবাড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ।
দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনার এসপি অভিষেক রায়ের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দেয় পেছন থেকে আসা একটি মালগাড়ি। এতে বগি লাইনচ্যুত হলে ভেতরে আটকে পড়েন যাত্রীরা। সেখান থেকে উদ্ধার করে কাছেই একটি জায়গায় অস্থায়ী ভাবে আহতদের নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’
এদিকে আজ সকাল থেকে শিলিগুড়িতে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার ফলে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদন জানায়, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি একটি স্থানে পৌছালে পেছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিক থেকে পর পর দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশে ছিটকে পড়ে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘এই মাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিশদে এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে শুনেছি। জেলাশাসক, এসপি, চিকিৎসক ও অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।’ পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রীও।
এর আগে ২০২২ সালে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির কাছে দোমোহনিতে লাইনচ্যুত হয়েছিল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়। ২০২৩ সালের ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের সঙ্গে একটি মালগাড়ি এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ধাক্কা লাগে। ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়।