কীভাবে বাঁচি
দর্পণ কবীর
আমরা তো অবনতই আছি! আর কত অবনত হলে
তোমার রণ-রুদ্রমূর্তি বদলে যাবে হাসির মুদ্রায়?
আমরা তো প্রার্থনা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। আর
কত প্রার্থনা করলে তোমার ক্ষোভের অগ্নিলাভা
হঠাৎ হয়ে যাবে ফুল ফোটানো গান, নীলিমায় নক্ষত্রের
পালাগান শুনতে পাবো নিশির নৈবদ্যে?
আমরা কখনও তো মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করিনি! মৃত্যুকে
জীবনের মহিমামণ্ডিত সমাপ্তি মেনে নিয়ে
অন্যলোকের বর্ণময় রূপকথায় সবসময় মন্ত্রমুগ্ধ
থেকেছি। মৃত্যুমুখে পুষ্পের হাসি হেসে কবি
বলেছেন জীবন শিল্প হলে মৃত্যু আরো শিল্পময়। এরপরও
মৃত্যু কেন আমাদের সঙ্গে নিদারুন অবহেলায় নিমর্ম
খুনীর গলায় কথা কয়? যে মৃত্যু, খুব সহজে বুক
পেতে নিতে রাজি, সেই মৃত্যু আমাদের কাছে আসে না।
আসে লুটেরা ও হিংস্র যমদূত ! করোনা গ্রাসের কী
ভয়াল আক্রমণ, অকাতরে মরে যাওয়ার কী উৎসব-অদ্ভূত!
আমরা তো মাথা নিচু করেই আছি !
এতো মৃত্যু, স্বজন হারানোর বেদনা আর শঙ্কাভরা
সমাজে তোমার করুণা ছাড়া কীভাবে বলো বাঁচি?◉