গিয়াস উদ্দিনের প্রবাস জীবনের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন একজন স্বপ্নবিলাসী মানুষ। স্বপ্ন পূরণ করতেই দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রবাসে এসেছিলেন। ১৯৭৮ সালে যান ইরান। এরপর সেখান থেকে জার্মানি। ১৯৮২ সালের ১৭ জুন আসেন স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। এখানে আসবার পর আর দশ জন বাঙালি প্রবাসীর মতোই জীবন শুরু করেন। কাজ নেন ম্যানহাটানের রেস্টুরেন্ট ম্যারিয়ট হোটেলে।
ম্যানহাটনসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গায় বাস করলেও এক সময় স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেন ব্রঙ্কসে। বলা হয়ে থাকে, গিয়াস উদ্দিন ব্রঙ্কসে বাঙালিদের অন্যতম কলম্বাস। ১৯৮৮ সালে ম্যারিয়ট হোটেলে কাজ করার সময় ব্রঙ্কস থেকেই প্রথম আল আমিন হালাল মিটের ব্যবসা শুরু করেন। দশ বছরে, ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রঙ্কসে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সে বছরই চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় মনোযোগী হন।
কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং নিষ্ঠার কারণেই গিয়াস উদ্দিন আজ প্রবাসে একজন সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি কম্যুনিটির উন্নয়নে কাজ করতে শুরু করেন। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে স্ট্রালিং এভিনিউয়ের নাম রাখেন বাংলাবাজার এভিনিউ। ব্রঙ্কসে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাবাজার জামে মসজিদ। পার্ক চেস্টার মসজিদ নির্মাণের সময়ও তিনি সহযোগিতা করেন।
আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের প্রবাস জীবনের বয়স ৩৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের। সাংবাদিক আশরাফুল হাসান বুলবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি গেল ২৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের খলিল বিয়ানী হাউজে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কম্যুনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মূলধারার রাজনীতিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কাউন্সিলম্যান রুবিন ডিয়াজ, এ্যাসেম্বলীম্যান এরিখ স্টিভেন্স, মূলধারার রাজনীতিবিদ আইন বিশেষজ্ঞ এন মজুমদার এবং গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রোসনা গিয়াস।
অনুষ্ঠানে আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনকে কম্যুনিটির উন্নয়নে অবদানের জন্য কাউন্সিলম্যান সাইটেশন প্রদান করেন। ক্রেস্ট এবং সম্মাননা প্রদান করেন মাওলানা আবুল কাশের ইয়াহিয়া, খলিল বিনিয়ানীর খলিল, ইন্টারফেইথের পক্ষে মাওলানা শহীদুল্লাহ, ম্যানহাটন বাংলা স্কুলের পক্ষে ইকবাল আহমেদ, কম্যুনিটি লিডার হাসান আলী এবং ৪৩ প্রিসেক্টের পক্ষে পুলিশ অফিসার লবিং জেগাস ও এইচ তাবিজ।