চীনকে রুশ যুদ্ধে সহায়তার ফল ভোগ করতে হবে: ন্যাটো প্রধান
ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধকে সমর্থন দেওয়ার পরিণতি ভোগ করতে হবে চীনকে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।
চীন দুই দিকেই সুবিধা নিতে চাইছে বলে উল্লেখ করে স্টলটেনবার্গ বলেন, একদিকে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন দিচ্ছে, অন্যদিকে ইউরোপের মিত্রদের সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে চীন। এটা দীর্ঘমেয়াদে কাজে আসবে না।
পারমাণবিক অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়েও কথা বলেন ন্যাটোপ্রধান। কয়েক দিন আগেই সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলন শেষ হলো। সেখানে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে অনেক দেশ।
কিন্তু রাশিয়া সম্মেলনটিকে সময়ের অপচয় বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করলেই কেবল তারা শান্তি আলোচনায় সম্মত হবে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার অনমনীয় অবস্থানের মধ্যেই ন্যাটো মহাসচিব এই মন্তব্যটি করলেন।
রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিষয়ে ন্যাটো দেশগুলো কী করতে পারে এমন প্রশ্নে স্টলটেনবার্গ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, চীন অনেক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। এর মধ্যে মাইক্রো-ইলেকট্রনিকসের মতো প্রযুক্তিও আছে।
যা দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে।
তিনি বলেন, চীন যদি তাদের এই আচরণ না পাল্টায়, তাহলে আমাদের কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ বিবেচনা করতে হবে।
বেইজিং ইতিমধ্যেই কিছু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। গত মাসে চীন ও হংকংভিত্তিক ২০টি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন, মঙ্গলবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এটা নিশ্চিত করার পরই ওয়াশিংটন সফরে আসেন স্টলটেনবার্গ।
চীনের নামের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া এখন আরো বেশি বেশি কর্তৃত্ববাদী শাসকদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া গোলা-বারুদ পাঠাচ্ছে। বিনিময়ে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচির জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিচ্ছে রাশিয়া। অর্থাৎ উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধের আগ্রাসন চালাতে রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে।