জালালাবাদের নির্বাচনের বদরুল-মঈনুল প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।
গেল ৫ জুন একইসঙ্গে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং ফিলাডেলফিয়ার মোট ৫টি কেন্দ্রে এক উৎসবমুখর পরিবেশে এই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরি পরিষদের ১৯টি পদের মধ্যে মাত্র ৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন আনন্দ-উচ্ছ্বাস এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ জুন নিউইয়র্ক, নিউজার্সি এবং ফিলাডেলফিয়ার ৫টি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় বদরুল-মঈনুল প্যানেলের ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন।
৫ জুন নির্বাচনে শুধুমাত্র ৫টি পদে ভোটগ্রহণ হয়, সে পদগুলো যথাক্রমে সভাপতি, সহ-সভাপতি (সিলেট), সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও সাংগঠনিক সম্পাদক। ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন বদরুল হোসেন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ব্যবসায়ী মঈনুল ইসলাম। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আলিম এবং সাগঠনিক সম্পাদক পদে ইফজাল চৌধুরী। এবারের নির্বাচনে ১১ হাজার ৪৪ জন ভোটারের মধ্যে ৩৭১৫ জন।
জালালবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনটি করোনার কারণে পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগের টার্মের নির্বাচনও আয়োজিত হয় নি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই কে নির্বাচিত যে হবেন সেটি পরিষ্কার হয়ে যায়।
নিউ ইয়র্কে জালালাবাদের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান কেন্দ্র ছিল এস্টোরিয়ার এনটিভি ভবনে। ওজোন পার্কে ছিল ১টি, ব্রঙ্কসে ছিল ১টি, নিউ জার্সিতে ১ টি এবং ফিলাডেলফিয়ায় ১টি। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আবার দেরিতে শুরু হওয়ায় কোনো কোনো কেন্দ্রে ১ ঘণ্টা দেরিতে ভোটগ্রহণ করা হয়। সারাদিন উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন শেষে স্ব স্ব কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনারা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা করেন। এনটিভি ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী বদরুল হোসন খান ২৬৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদুল হক সানু পেয়েছেন ৯৮০ ভোট। সহ-সভাপতি পদে (সিলেট) লুকমান হোসেন ২৫৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মঈনুল ইসলাম ২৩৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সাইকুল ইসলাম পেয়েছেন ১২১৪ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ আলীম ২৩৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১১৬৩ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক ইফজাল চৌধুরী ২৪৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল হক রাসেল পেয়েছেন ১০২৬ ভোট।
নির্বাচন কমিশনার মিনহাজ আহম্মেদ সাম্মুর পরিচালনায় এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য আহমেদ এ হাকিম, মোশাররফ আলম, সাব্বির হোসাইন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, সভাপতি প্রার্থী বদরুল হোসেন খান, মাসুদুল হক সানু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মঈনুল ইসলাম এবং তাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ সমর্থক এবং জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফলাফল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত সভাপতি বদরুল হোসেন খান, পরাজিত প্রার্থী মাসুদুল হক সানু, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল। আতাউর রহমান সেলিম তার বক্তব্যে নির্বাচিত প্রার্থী এবং পরাজিত প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্যসহ বর্তমান কার্যকরি কমিটি, কমিশনে সহযোগিতাকারীদের সঙ্গে জালালাবাদবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
নির্বাচিত সভাপদি বদরুল হোসেন খান নির্বাচন কমিশন এবং জালালাবাদবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যদের প্রতি।
সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম সবাইকে ধন্যবাদ জানান তাদের বিশ্বাস করে ভোট দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, আপনারা যে বিশ্বাসে আমাদের প্যানেলকে ভোপ দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, আমরা আপনাদের সেই বিশ্বাস রক্ষা করবো। তিনি বলেন, আমি আশা করছি এস্টোরিয়াতেই জালালাবাদবাসীর স্বপ্নের ভবন হবে।
অ্যালবাম