টি-টেনের স্বীকৃতি নিয়ে অলিম্পিকে ফিরবে ক্রিকেট?
কিছুদিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাথে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উঠে এসেছিলো অলিম্পিকে ক্রিকেটকে ফেরানোর কথা। ২০২৩ সাল থেকে পরবর্তী সময়ের ব্যাপারে নীতিনির্ধারণী সেই আলাপকে ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন নিয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সভা পর্যন্ত। বেশ ইতিবাচক আলোচনার ফলশ্রুতিতে ধারণা করা হচ্ছে, দশ ওভারের ফরম্যাটেই অলিম্পিকে ফিরতে পারে টি-টেন।
টি-টেনের সুবিধা হলো, একটি ম্যাচে দুই পক্ষের জন্য ৯০ মিনিট যথেষ্ট। আর স্বল্প দৈর্ঘ্যের হওয়ায় একইদিনে অনেকগুলো দলকে খেলানো সম্ভব এবং ভেন্যুর সংখ্যাও কমানো সম্ভব। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে ১০০ বলের ক্রিকেটের কথাও শোনা গেছে, তবে দীর্ঘদিন ধরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের গড়ে ওঠা গৌরব তাতে ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছেন অনেকেই। তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি যেকোনো গেমস অলিম্পিকে যোগ করার সময় সেটির স্বীকৃত ফরম্যাট নিয়ে কাজ করে। আবুধাবির টি-টেন টুর্নামেন্টে আইসিসির স্বীকৃতি ছিলোনা। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে ফরম্যাটে হতে পারে, কিংবা অতিরিক্ত ইভেন্টের তালিকায় যুক্ত হতে পারে ক্রিকেট।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সবচেয়ে উপকৃত হবে অলিম্পিক। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের জায়গায় পৌঁছাতে ব্যর্থ অলিম্পিক। এছাড়াও সকল ক্রিকেট খেলুড়ে দেশও নিজেদের প্রস্তুত করবে। তবে ২০২৮ সালের লস এঞ্জেলস অলিম্পিকের আগে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নেই। ক্রিকেট ফেরার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা ব্রিসবেনে ২০৩২ সালের অলিম্পিকে। তবে সেই উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভক্তদের।❐