তালেবানের নিন্দায় এবার তুরস্ক ও সৌদি আরব
দেশব্যাপী সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের ভর্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আফগানিস্তানের তালেবান শাসকরা। আর এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক ও সৌদি আরব।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বলেছেন যে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা ইসলামী বা মানবিক নয়।
ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতির সময় কাভুসোগলু তালেবানকে তাদের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নারী শিক্ষার ক্ষতি কী? এটা আফগানিস্তানের কী ক্ষতি করে? কোনো ইসলামিক ব্যাখ্যা (নারী শিক্ষা বন্ধ করার) আছে কি? বরঞ্চ আমাদের ইসলাম ধর্ম শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। বিপরীতে, এটি শিক্ষা ও বিজ্ঞানকে উৎসাহিত করে।’
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার তালেবানের সিদ্ধান্তে বিস্ময় ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তালেবানের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যেকটি মুসলিম দেশকেই অবাক করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
উচ্চশিক্ষামন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা স্থগিত করার উল্লিখিত আদেশ অবিলম্বে কার্যকরের জন্য আপনাদের সবাইকে জানানো যাচ্ছে।’
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশিমি চিঠিটি টুইটারেও প্রকাশ করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যম এপি ও এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক তালেবানের এ পদক্ষেপকে ‘সংকটজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই তালেবানের আরেকটি প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন।
গতবছর আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একেবারে কট্টরপন্থা থেকে বেরিয়ে আসবে তারা। এমন কি তাদের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বলা হয়েছিল, নারী-পুরুষ আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে নারী শিক্ষাতেও আপত্তি নেই তালেবানের।