ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ
সোমবারই শেষ হয়েছে উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ পর্ব। সন্ধ্যার পরই পাহাড়ি ওই তিন রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষা আসতে শুরু করেছে। সমীক্ষায় আভাস, তাতে আভাস ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে বিজেপি। তবে কঠিন লড়াই মেঘালয়ে। বাংলার বাইরের রাজ্যে বিধানসভায় খাতা খুলতে মেঘালয়ে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল। প্রচারে গিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অভিষেকও।
সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, মেঘালয়ে বেশ কয়েকটি আসন জিততে পারে জোড়া-ফুল শিবির। ত্রিপুরাতেও শতাংশের নিরিখে ৮-১০ শতাংশ ভোট পেতে পারে বাংলার শাসক দল। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
২০১৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ত্রিপুরায় মূলত কংগ্রেস এবং সিপিএমের মধ্যেই লড়াই জারি ছিল। বর্তমানে এই তিন দলের সঙ্গেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মা নেতৃত্বাধীন তিপ্রা মথা। আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্বের দাবি করে এই দল।
এই বছর, বিজেপি-আইপিএফটি, সিপিআই(এম)-কংগ্রেস জোটের পাশাপাশি ভোটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ত্রিপরা মোথা। ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। নির্বাচনে মোট ২৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ বিজেপি ত্রিপুরায় ফের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ। পদ্ম শিবির এবার ৫৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, বাকি ৫টিতে লড়েছে তাদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি। সিপিআই(এম) ৪৩টি আসনে ও তাদের বন্ধু কংগ্রেস ১৩টিতে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তিপ্রা মথা লড়েছে ৪২টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মোট ৫৮ জন নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নাগাল্যান্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও এবারও বিধানসভা নির্বাচনে এনডিপিপি ও বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ৷ নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচনে ১২টি রাজনৈতিক দল এবং নির্দল মিলিয়ে মোট ১৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪০ জন এনডিপিপি ও ২০ জন বিজেপি, ২২ জন এনপিএফ, কংগ্রেসের ২৩ জন ও এলজিপি-র (রাম বিলাস) ১৫ জন, এনসিপি-র ১২, আরপিআই (আটওয়াল)-র ৯, জেডিইউ-র ৭, আরজেডি-র ৩, আরপিপি-র ১, সিপিআই-র ১ ও নির্দল ১৯ জন।
নির্বাচনটি মোট ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৯টিতে ভোট হয়। একটি আসনে বিজেপি ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।