দিল্লির হয়ে অভিষেকেই দুর্দান্ত মোস্তাফিজ
আইপিএল শুরুর আগেই দিল্লি ক্যাপিটালসের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত জটিলতায় প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরেছেন এ পেসার। আর নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে অভিষেকটা হলো দুর্দান্তভাবেই। তার অসাধারণ বোলিংয়ে গুজরাট টাইটান্সের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্যটা থাকে হাতের নাগালেই।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দিল্লির হয়ে অভিষেকে ৩টি উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ। চার ওভারে রান খরচ করেছেন ২৩। তার বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট টাইটান্স।
এদিন বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন মোস্তাফিজই। তৃতীয় বলেই গুজরাট শিবিরে আঘাত হানেন কাটার মাস্টার। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ম্যাথিউ ওয়েড স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের ক্যাচে পরিণত হন। অবশ্য আম্পায়ার আঙুল তোলেননি। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় দিল্লি। সে ওভারে রান খরচ করেন ৭।
এরপর পাওয়ার প্লের ওভারে ফের বোলিং আসেন তিনি। এবার কোনো উইকেট না পেলেও দেন মাত্র ৪ রান। মাঝের ওভারে মোস্তাফিজকে আর টানেননি দিল্লি অধিনায়ক পান্ত। ফিরে আসেন স্লগ ওভার। ১৭তম ওভারে এসে রান খরচ করেন ৯।
এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে ফিরে জোড়া ধাক্কা দেন এ পেসার। দ্বিতীয় বলে তার স্লোয়ার বুঝতে পারেননি রাহুল তেওয়াতি। তাকে এক্সট্রা কাভারে শার্দুল ঠাকুরের ক্যাচে পরিণত করার পর পঞ্চম বলে কাটারে বিভ্রান্ত করেন অভিনাভ মানোহারকে। এক্সট্রা কাভারে তার ক্যাচ নেন অক্ষর প্যাটেল।
চার ওভারে মোস্তাফিজ বাউন্ডারি হজম করেছেন কেবল একটি। ডট দিয়েছেন ৭টি। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ২৩ রান খরচ করে পান ৩টি উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেন ছয়েরও কম। যেখানে বাকি সব বোলারই ওভার প্রতি দিয়েছেন কমপক্ষে ৮ রান। আর মোস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই থাকে দিল্লির।
গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন শুভমান গিল। ৪৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৭ বলে ৩১ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া।