নজিরবিহীন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। দেশটিতে টানা ১০তম সপ্তাহের মতো চলছে এই বিক্ষোভ। গতকাল শনিবার দেশটির বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমেছে কয়েক লাখ প্রতিবাদকারী। অনেকে গতকালের এ বিক্ষোভকে দেশটির ইতিহাসে বৃহত্তম প্রতিবাদ বলছে। খবর আল-জাজিরা, বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগ সংক্রান্ত আইনগুলোতে বড় রকমের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই চলছে এ বিক্ষোভ।
বিক্ষোভের আয়োজকরা বলছেন, শনিবারের বিক্ষোভে রেকর্ড পাঁচ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এই সংখ্যা বলা হচ্ছে, আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ।
তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রান শাহর নামে এক প্রতিবাদকারী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমি প্রতিবাদ করছি কারণ নতুন সরকার যে পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছে তা ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
তামির গাইয়সাব্রি (৫৮) নামে এক ব্যক্তি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এটা বিচার বিভাগের সংস্কার নয়। এটি আমূল পরিবর্তন যা ইসরায়েলকে পুরোপুরো একনায়কতন্ত্রে পরিণত করবে।
ইসরায়েলি মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিবে অন্তত দুই লাখ মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে, অন্যদিকে হাফিয়া শহরে ৫০ হাজার এবং বীরশেবায় ১০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। তবে বিক্ষোভে তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি যদিও পুলিশ তেল আবিবে রাস্তা অবরোধের অভিযোগে তিনজন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছেন।
বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড বীরশেবায় বিক্ষোভকারীদের বলেছেন, দেশ তার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সংকটের মুখোমুখি।
এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্র ডানপন্থীদের সমর্থন নিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো ইসরায়েলের নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়া নেতানিয়াহু বিচার বিভাগের এমন কিছু সংস্কার করার পরিকল্পনা করেছেন যা তার বিরোধীরা বলছেন এতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট দুর্বল হয়ে পড়বে।