নাসার নতুন চন্দ্রাভিযান এখনো অনিশ্চিত
নভোচারীবিহীন আর্টেমিস-১ নামের চন্দ্রাভিযান এরই মধ্যে দুইবার পেছানো হয়েছে কারিগরি ত্রুটির কারণে। বলা হচ্ছে প্রয়োজনে তা আরেক দফা পেছানো হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এই চন্দ্রাভিযান শুরুর তৃতীয় দফার চেষ্টা করা হতে পারে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, আপাতত তেমনটাই জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চাঁদের উদ্দেশ্যে সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের দিন নির্ধারণের কথা গত সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে নাসা।
নাসা বলছে, ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেটে জ্বালানি ভরার সফল পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের তারিখ। এ ছাড়া রয়েছে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার। সব শর্ত পূরণ হলে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসা রকেটের টেস্ট ক্যাপসুলের (ওরিয়ন) সমুদ্রে অবতরণের মাধ্যমে অভিযানটি শেষ হবে। তবে শর্ত পূরণ না হলে রকেট উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়ে ২ অক্টোবর করা হতে পারে। ‘
চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণের জন্য মনুষ্যবিহীন ক্যাপসুল ওরিয়ন পাঠাতে প্রস্তুত করা হয়েছে নাসার এযাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট এসএলএস। ভবিষ্যতে মানুষ নিয়ে চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এসএলএস রকেটের পাশাপাশি এর ওপরে থাকা ক্যাপসুলের (ওরিয়ন) সক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে।
এই অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃ প্রবেশের সময় ক্যাপসুলটির হিট শিল্ডের স্থায়িত্ব পরীক্ষা করা। বায়ুমণ্ডলে প্রচণ্ড গতিতে ফেরার সময় কয়েক হাজার ডিগ্রি পর্যন্ত গরম হয়ে ওঠে ক্যাপসুলের বাইরের আবরণ।
পরবর্তী অভিযান আর্টেমিস- ২ নভোচারীদের চাঁদে নিয়ে যাবে। আর তৃতীয় অভিযান ২০২৫ সালে হওয়ার কথা যেখানে চাঁদের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো নারী ও অশ্বেতাঙ্গ নভোচারী অবতরণ করবেন।
২০৩০ এর দশকে মঙ্গলগ্রহের যাত্রাকে সামনে রেখে চাঁদে মহাকাশ স্টেশন বানাতে চায় নাসা। চাঁদে স্থিতিশীল উপস্থিতি বজায় রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে টিকে থাকার কৌশল রপ্ত করাই এর উদ্দেশ্য।
এএফপি