নৈতিকতা পুলিশ বাতিল হয়নি, ‘হিজাব আইন’ পুনর্বিবেচনা: ইরানি সংবাদমাধ্যম
ইরানে প্রচলিত বাধ্যতামূলক হিজাব আইনটি দেশটির পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগ পুনর্বিবেচনা করছে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মাদ জাফর মুন্তাজেরি এই তথ্য জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দেশটির নৈতিকতা পুলিশ স্থগিত করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন নৈতিকতা পুলিশ বাতিলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুন্তাজেরি ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ‘বিলুপ্ত’ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে উদ্ধৃত করা হলেও ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম দৃঢ়ভাবে সেই মন্তব্যকে নাকচ করেছে। জানিয়েছে—নৈতিকতা পুলিশকে তত্ত্বাবধান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগ নয়।
হিজাব আইন প্রসঙ্গে মুন্তাজেরি বলেন, ‘আমরা জানি—আপনি যখন শহরগুলোতে হিজাব ছাড়া নারীদের দেখবেন তখন নিশ্চয়ই আপনি বিরক্ত বোধ করবেন। তবে আপনি কি মনে করেন, কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নীরব? এই ইস্যুটির সঙ্গে জড়িত একজন হিসেবে আমি বলছি যে—আমাদের পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগ উভয়ই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, আমরা সংসদের সাংস্কৃতিক কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন।’
এদিকে, গতকাল রোববার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত আল-আলম নিউজ চ্যানেল দেশটির নৈতিকতা পুলিশকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মর্মে প্রকাশিত প্রতিবেদন নাকচ করে দিয়েছে। এর আগে, বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল—ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি নৈতিকতা পুলিশকে বিলুপ্ত করেছে।
আল-আলমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সরকারের কোনো কর্মকর্তাই নৈতিকতা পুলিশ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।’ টিভি চ্যানেলটি আরও বলেছে, ‘কিছু বিদেশি গণমাধ্যম অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের হিজাব আইন প্রত্যাহারের বিষয়টিকে সাম্প্রতিক দাঙ্গা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।’