Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
December 21, 2024
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকপারমাণবিক চুক্তির সীমা আর মেনে চলবে না ইরান

পারমাণবিক চুক্তির সীমা আর মেনে চলবে না ইরান

পারমাণবিক চুক্তির সীমা আর মেনে চলবে না ইরান

মার্কিন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল ও কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার জেরে পারমাণবিক চুক্তির সীমা আর মেনে চলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।

রোববার রাজধানী তেহরানে দেশটির মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেয় ইরান।

এক বিবৃতিতে তেহরান বলেছে, তারা আর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির সীমা মেনে চলবে না। পরমাণু উপকরণ সমৃদ্ধকরণ, মজুদ, গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে আর কোনো সীমাবদ্ধতা তারা রাখবে না।

এদিকে শুক্রবার ভোরে মার্কিন সেনারা বাগদাদে জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করার পর ওই অঞ্চলে এখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী ইরান স্পর্শকাতর পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছিল।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান এবং বলেন যে তিনি পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি স্থগিত করতে ইরানকে একটি নতুন চুক্তিতে বাধ্য করবেন।

ইরান তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে এবং ধীরে ধীরে পরমাণু চুক্তি বিষয়ে দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে থাকে।

কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের আগেই পরমাণু চুক্তি বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থান জানাবে বলে আশা করা হচ্ছিল।

কিন্তু ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রোববারই ঘোষণা দেয় যে, তারা ২০১৫ সালের চুক্তির আলোকে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার প্রতি আর কোনো শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে না।

তবে বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে তারা চুক্তি থেকে নিজেদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কিনা। কারণ এই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে যে তারা জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

ইরান বলছে তারা চুক্তির সুফল পেলেই কেবল আবার প্রতিশ্রুতি পালনের দিকে ফিরে যেতে প্রস্তুত।

বিবিসির বাংলার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরান সবসময় নিজেদের পরমাণু কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ দাবি করে আসছিল। তবে এর মধ্যেই তারা পরমাণু বোমা বানাচ্ছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার বিনিময়ে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে একমত হয়েছিলো দেশটি।

এর ফলে দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আসে।

২০১৫ সালের আগে ইরানের এ ধরনের ইউরেনিয়ামের ভালো মজুদ ছিল, যা দিয়ে অন্তত আট থেকে দশটি বোমা বানানো যেতো বলে দাবি করেছিল হোয়াইট হাউজ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত ইউরেনিয়াম থাকলে পরমাণু বোমা বানাতে ইরানের দু থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।

তবে সমৃদ্ধকরণ মাত্রা কুড়ি শতাংশের বেশি হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেও তারা এ ধরণের বোমা বানাতে পারবে।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment