পুলিশ হত্যার দায়ে বন্যপ্রাণী শিকারির যাবজ্জীবন
হরিণ শিকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এক ব্যক্তি পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি জার্মানির রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের কুজেল শহরের কাছে ঘটে এই ঘটনা।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদিন দুই পুলিশ অফিসার সেখানে একটি ভ্যানের গতিরোধ করে। সেই ভ্যানে ছিল ২০টি মৃত হরিণ।
শিকারি আন্দ্রেয়াস এস এবং তার সহযোগী ফ্লোরিয়ান ভি. বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অবৈধ উপায়ে বন্যপ্রাণী শিকার করে নিয়ে যাচ্ছিল। আদালতের অভিযোগে বলা হয়, আন্দ্রেয়াস হঠাৎ নারী পুলিশ কর্মকর্তার উপর গুলি চালায়।
শটগান ও পশু নিধনের রাইফেল দিয়ে সে এক পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তাকেও গুলি করে। গুরুত্বর আহত ওই কর্মকর্তাও পাল্টা গুলি চালান, তবে তা লক্ষ্যভেদ করেনি। আহত অবস্থায় তিনি কন্ট্রোল রুমে আক্রান্ত হওয়ার সংকেত পাঠান।
এরপর আন্দ্রেয়াস আহত নারী পুলিশকে খুঁজে বের করে তার মাথায় গুলি করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতেই তার মাথায় গুলি চালানো হয় বলে আদালকে জানানো হয়। নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য সে দুজন পুলিশ অফিসারকে নির্মমভাবে খুন করে।
এই ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুলিশ ঐ অঞ্চলে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। খুনিদের সম্পর্কে খোঁজ দিতে জন জনকেও আহ্বান করে পুলিশ। পরের দিন পাশের এক রাজ্য থেকে আন্দ্রেয়াস ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়।
গত বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মান শহর কায়জার্সলাউটার্নের একটি আঞ্চলিক আদালত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করার জন্য ৩৯ বছর বয়সী আন্দ্রেয়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। বন্যপ্রাণী নিধনের অপরাধেও তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
তবে তার সহযোগী ফ্লোরিয়ানকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়নি। খুনিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে বিচারকার্যে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।