পেরুতে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, নিহত ২
অভিশংসনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে পেরুর রাজধানী লিমাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সহিংস বিক্ষোভ চলাকালে কমপক্ষে দুই জন নিহত হন এবং দেশটির দক্ষিণে একটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে দেখা যাচ্ছে আন্দাহুইলাস বিমানবন্দর থেকে ধোঁয়া উঠছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানবন্দরে ৫০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।
গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কাস্টিলোর অভিশংসন ও আটকের পর থেকে লিমাজুড়ে ক্রমাগত বিক্ষোভ চলছে। রোববার শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
পেরুর পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তর করপ্যাক জানিয়েছে, শনিবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে শুরু হওয়া হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে আন্দাহুইলাস বিমানবন্দরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিমানবন্দরের টার্মিনালে ৫০ জন কর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল, কিছু লোককে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল।
পেরুর কেন্দ্রীয় পুলিশ পরে জানায়, কর্মকর্তারা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বিমানবন্দরে যান, যেখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। সেখানে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তারা তার মৃত্যুর পরিস্থিতি স্পষ্ট করার জন্য পরিস্থিতি তদন্ত করছে।
পেরুর ন্যায়পাল জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি একজন কিশোর। পরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিজার সেরভান্তেস জানান, আন্দাহুয়াইলাসে অশান্তিতে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ন্যায়পাল ও পুলিশ এসব সহিংসতা অবসানের আবেদন জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ও শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) শত শত মানুষ লিমার রাস্তায় নেমেছিল কাস্টিলোর মুক্তি এবং তার স্থলাভিষিক্ত দিনা বালুয়ার্তের পদত্যাগের দাবিতে।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার আন্দাহুইলাদের বিক্ষোভে যোগ দেন তিন হাজার মানুষ। তাদের কেউ কেউ নগরীর কয়েকটি থানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুরের চেষ্টা করে।
ন্যায়পাল জানিয়েছেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে ১৬ জন বিক্ষোভকারী ও চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত কাস্টিলোর দক্ষিণ পেরুর ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ক্ষমতা হারানোর পর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এখন তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।