প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন
ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানানো হয়েছে।
শুক্রবার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে রানি তার প্রিয় স্বামীর মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছেন।’
‘তার রয়্যাল হাইনেস আজ সকালে উইন্ডশোর ক্যাসলে শান্তিতে বিদায় নিয়েছেন।’
ফিলিপ ব্রিটিশ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন এক স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করা রাজপরিবারের পুরুষ সদস্য। দুজনে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে একসঙ্গে কাটালেন।
১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণের পর ২০১৭ সাল পর্যন্ত নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা প্রিন্স ফিলিপ ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। রয়্যাল মেরিনসহ ৭৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট অথবা সদস্য প্রিন্স ফিলিপ ৬৩৭ বার বিদেশ সফর করেছেন এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি বিতর্কিত সব কথাবার্তার জন্য বহুল আলোচিত ছিলেন। প্রায়ই বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতেন।
২০০২ সালে এক বাংলাদেশি কিশোরকেও তিনি নেতিবাচক ইঙ্গিতে সম্বোধন করেন। তার সেই উক্তি ব্রিটেনে নানা সময়ে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। এখনো বিভিন্ন লেখায় সেটি ব্যবহার করা হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের পাসনোট কলামে ২০১১ সালে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়।
সেবছর বাংলাদেশি তরুণদের একটি ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে ১৪ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘এখানে কে ড্রাগ নিয়েছে? ওকে দেখে মনে হচ্ছে ড্রাগ নিয়েছে!’
প্রিন্স ফিলিপের আরও কিছু বিতর্কিত বক্তব্য:
১৯৮৬ সালে চীন সফরের সময় সেখানে একদল ব্রিটিশ ছাত্রদের বলেন, ‘এ দেশে বেশি দিন থাকলে তোমাদের চোখ কিন্তু সরু হয়ে যাবে!’
১৯৯৪ সালে কেইম্যান দ্বীপ সফরের সময় স্থানীয় এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে এভাবে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের অধিকাংশই তো জলদস্যুদের বংশধর, তাই না?’
একবার এক নারী পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘তোমাকে আত্মঘাতী বোমা বহনকারীর মতো লাগছে।’
২০০৯ সালে ব্রিটেন, চীন এবং রাশিয়ার নেতাদের বিষয়ে বারাক ওবামার কাছে প্রশ্ন করেন, ‘তাদের মধ্যে কি কোনো পার্থক্য আছে?’❐