ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র
ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির প্রয়াত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে। সর্বশেষ নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। পরে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাজধানী ম্যানিলায় ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শহপথ নেন ‘বংবং’ নামে পরিচিত এই রাজনীতিক। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন ৬৪ বছর বয়সী ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। আর তার এই জয়ের মাধ্যমে ফিলিপাইনের ক্ষমতায় ফের মার্কোস পরিবারের প্রত্যাবর্তন ঘটে। ১৯৮৬ সালে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ৩৪ বছর পর ফের ক্ষমতার কেন্দ্রে আবির্ভূত হয় এই পরিবার। অন্যদিকে ফিলিপাইনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের মেয়ে সারা দুতের্তে মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী ম্যানিলার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অতিথি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন। এছাড়া শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির রাজধানীজুড়ে সেনা, পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যসহ ১৫ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়। মধ্যাহ্নকালীন এই শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বিদেশি অতিথিদের মধ্যে চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগ এমহফও ছিলেন।
উল্লেখ্য, নতুন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের নেতা ছিলেন। তবে ১৯৮৬ সালে এক গণআন্দোলনে সেই শাসনের অবসান ঘটে। সেসময় মার্কোস পরিবার দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায়।পরে ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রেই মারা যান মার্কোস সিনিয়র। সেসময়ের তরুণ যুবক মার্কোস জুনিয়র ১৯৯১ সালে ফিলিপাইনে ফিরে আসেন এবং দেশটির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।