Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
December 5, 2024
হেডলাইন
Homeকথকতাবঙ্গবন্ধু এবং প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড

বঙ্গবন্ধু এবং প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড

বঙ্গবন্ধু এবং প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড

জীবন বিশ্বাস


১৫ আগস্ট! বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস এবং বিশ্বের ইতিহাসে একটি মর্মন্তুদ কালো দিন! এই দিন হানাদার পাকিস্তানের বাংলাদেশী দোসররা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস সবারই জানা। কয়েকদিন আগে, জুলাই মাসের ৭ তারিখে গভীর রাতে ক্যারিবিয়ান দেশ হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইজকে হত্যা করা হয়। এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য কোনভাবেই বঙ্গবন্ধু এবং জোভেনেলের তুলনা করা নয় এবং তা উচিতও নয়, কারণ বঙ্গবন্ধুর মত বিশাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং জাতির জনকের সংগে বিশ্বের কোন নেতার তুলনা হতেই পারে না। ১৯৭৩ সালে ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি’।

দেশপ্রেম, স্বাধীনতা আন্দোলনে আপোষহীন নেতৃত্ব, জীবনের একটি বিশাল সময় জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থাকা, অনিন্দ্যসুন্দর ঋজু একহারা অতিশয় লম্বা গড়ন, অসাধারণ বাগ্মিতা এবং সর্বোপরি তার মত উদাত্ত কণ্ঠ পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোন নেতার ছিল বা আছে বলে মনে হয় না। দু’জন আজ জীবিত থাকলে এবং পাশাপাশি দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের কাছে জোভেনেল ম্রিয়মাণ হয়ে যেতেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই বলে মানুষ এবং রাষ্ট্রনেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট জোভেনেলকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে তাও নয়।

কিন্তু যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, একজন রাষ্ট্রনেতা যেমনই হোক, তাকে হত্যা করা মানব সভ্যতায় কখনোই কাম্য হতে পারে না। এই দুই হত্যাকাণ্ডের সাদৃশ্য, বৈপরীত্য এবং বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ঘটনাবলীর দিকে এ নিবন্ধে বিশেষভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে, কোনভাবেই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দর্শন, শাসনকাল বা ব্যক্তিত্ব নিয়ে তুলনার অশোভন চেষ্টা করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, তার জন্যই আজকের বাংলাদেশের অভ্যুদয়, তার তুলনা তিনি নিজেই।

এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে কারোরই তেমন অজানা কিছু নেই, কিন্তু ক্যারিবিয়ান দেশ হাইতি সম্পর্কে তেমন একটা জানা না থাকা আশ্চর্য কিছু নয়। হাইতির অফিসিয়াল নাম হচ্ছে রিপাবলিক অব হাইতি। ক্যারিবিয়ান সাগর বিধৌত এই দেশটি কিউবা ও জ্যামাইকার পূর্বে এবং বাহামা দীপপুঞ্জের দক্ষিণে হিস্পানিওলা দ্বীপে অবস্থিত। প্রতিবেশী দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকের সংগে হাইতির ২৩৪ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং এই দু’টি দেশ হিস্পানিওলা দ্বীপকে ভৌগলিকভাবে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। হাইতির প্রধান ভাষা দু’টি, ফরাসী এবং ক্রিওল। ফরাসী ভাষার অস্তিত্ব সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল কিন্তু ক্রিওল ভাষার নাম অনেকের কাছেই নতুন মনে হতে পারে। ক্রিওল ভাষার সংগে ইংরেজি ভাষার মিল সবচেয়ে বেশী থাকলেও এটি মূলত অনেকগুলো ভাষার সংমিশ্রণে একটি মিশ্র ভাষা।

ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার দিক থেকে ১৪১টি দেশের মধ্যে হাইতির অবস্থান হচ্ছে ১৩৮ তম যা অতি সহজেই বুঝিয়ে দেয় হাইতি একটি অত্যন্ত দরিদ্র রাষ্ট্র। নব্বুইয়ের প্রথমদিকে চাকরীর সুবাদে দু’বছর সপরিবারে দক্ষিণ আমেরিকার গায়ানাতে থাকার সময় হাইতির অনেকের সংগেই আমার পরিচয় হয়, তখন হাইতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়। গায়ানাকে অনেকেই ক্যারিবিয়ান দেশও বলে থাকেন এর ভৌগলিক অবস্থানের কারণে। পরবর্তীতে আমেরিকায় জাপানের একটি বিশ্বখ্যাত ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানির আইটি বিভাগে কাজ করার সময় প্রায় চৌদ্দ বছর আগে ডুমন্ড এস্টিমে নামে আমার এক সহকর্মীর সঙ্গে পরিচয় হয় যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা হাইতিতে কিন্তু কর্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তার কাছে হাইতি সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানার সুযোগ হয় দীর্ঘ আট বছর একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে। তবে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারির রিখটার স্কেলের ৭ মাত্রার মাত্র ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্পে যখন হাইতি পুরোপুরি বদলে যায়, তখন এর বিস্তারিত ইতিহাস জানতে আরো বেশী আগ্রহী হয়ে পড়ি। হাইতির জনসংখ্যা ১১ মিলিয়ন যার মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগই আফ্রিকান এবং বাকী শতকরা ৫ ভাগ অন্যান্য জনগোষ্ঠী।

হাইতির জনগণ সাধারণভাবে খুব দয়ালু ও অতিথিপরায়ণ কিন্তু দেশটি চরম দারিদ্র্যপীড়িত বলে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার অন্ত নেই। এই অবস্থায় ২০১৬ সালে অপেক্ষাকৃত তরুণ জোভেনেল মোইজ (জন্ম ১৯৬৮ সালে) প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। সাংবিধানিকভাবে ২০১৯ সালে হাইতির পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যার কারণে তা আর হয়নি এবং প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইজ তার শাসনকার্য ডিক্রির মাধ্যমে চালিয়ে যেতে থাকেন। বিরোধী দল ও জনতার একটি অংশ জোভেনেলের পদত্যাগ দাবী করতে থাকে এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশের মতোই জ্বালাও-পোড়াও অব্যাহত থাকে। হাইতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা বা অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে এ নিবন্ধে তুলে ধরা সম্ভব নয়, উদ্দেশ্যও নয়, কিন্তু মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে উপরের বিবরণের মাধ্যমে হাইতির একটি সামগ্রিক চিত্র পাঠকের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে উপস্থিত না থাকায় দুর্ঘটনাক্রমে বেঁচে যান এবং তাঁর প্রথমা কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের পরিবারের অন্য কেউ নিহত হননি, শুধুমাত্র তার সহধর্মিণী মার্টিন মেরি এটিয়েন জোসেফ মোইজ গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং আমেরিকার মায়ামিতে কয়েক সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। তাদের একমাত্র কন্যা তার এক ভ্রাতার কক্ষের ক্লজেটে লুকিয়ে থেকে নিজেকে রক্ষা করেন এবং দুই ছেলে বাইরে থাকায় তারাও বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একটি বিপথগামী দল, এমনকি শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি তারা। সেনাবাহিনীর ট্যাংক এবং অন্যান্য সব ধরণের সামরিক সরঞ্জাম সহকারে ব্যারাক থেকে জনপথে সদর্পে অনুশীলনের ভাণ করে ভোর রাতে তারা বঙ্গবন্ধুর বাসভবন আক্রমণ করে সবাইকে হত্যা করে। মূল হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী সেনাসহ তাদের সহযোগী সেনা এবং মদদ দানকারী ঊর্ধ্বতন সেনা কর্তৃপক্ষের সদস্যের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ থাকলেও তা যে কমপক্ষে ৩৫০ জন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে জোভেনেলের হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৮ জন যার মধ্যে ২৬ জনকেই ভাড়া করা হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার আরেক সমস্যাসঙ্কুল দেশ কলম্বিয়া থেকে এবং অন্য দুইজন ছিল স্বদেশী হেইশিয়ান-আমেরিকান।

এই হত্যাকাণ্ডে হাইতির সেনাবাহিনী বা আর্মড ফোর্সের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে হাইতির এলিট শ্রেণী, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায় অথবা বিরোধী দলের জড়িত থাকার কথা এখনো উড়িয়ে দেয়া হয়নি বা সন্দেহও করা হয়নি। সন্দেহভাজন হত্যাকারী ২৮ জনের মধ্যে হাইতি কর্তৃপক্ষ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে, গ্রেফতারের সময় গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছে এবং বাকী ৫ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের ব্যক্তিগত বাসভবনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ জন প্রহরীদের সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি তবে তাদের কেউই যে হতাহত হয়নি তা স্পষ্ট, তাদের জড়িত থাকার কথা এখনো প্রমাণিত হয়নি। কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রে বলা হয়েছে, খুনিরা প্রথমেই নিরাপত্তা প্রহরীদের হত্যা না করে আটকে রাখে। খুনিরা ডিইএ (DEA – Drug Enforcement Agency of USA) অপারেশন বলে মিথ্যে পরিচয়ে চিৎকার করে প্রথমেই বাসভবনের আশেপাশের প্রতিবেশীদেরকে সতর্ক করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সেরকম কোন রাখ-ঢাক করেনি বা পরিচয় লুকোয়নি, তারা সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এই দু’টি হত্যাকাণ্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণে যে বিষয়টি লক্ষ্য করার মতো তা হল, ঘটনার সময় বা অব্যবহিত পরে রাষ্ট্রপক্ষের প্রশাসনিক বা সামরিক ভূমিকা উভয়ক্ষেত্রে একেবারে উলটো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে সকাল বেলা সেনাপতি জিয়াউর রহমানকে যখন জানানো হয় তখন তিনি তার দাঁড়ি কামাচ্ছিলেন। তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আর্মির ইংরেজি জবাবে বলেছিলেন, ‘সো হোয়াট’।

তিনি খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা, তাদের পালাতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু চরম দরিদ্র দেশ হাইতির প্রশাসনের একজন বিচারক জোভেনেল হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার সংগে সংগেই সেনা সমভিব্যাহারে তার বাসভবনে যান এবং আহত ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোউজকে হেলিকপ্টারযোগে মায়ামিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়, তা হল, কেন এই হত্যাকাণ্ড? কোন রাজনৈতিক হত্যাই যে যুক্তিযুক্ত নয় তার সহস্র প্রমাণ ইতিহাসে থাকা স্বত্বেও হত্যা চলছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে সেনাবাহিনী বা দেশের কি লাভ হয়েছে তা আজো কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট জোভেনেলকে হত্যা করে হাইতি এখন আরো গভীর সংকটে। সংকট থেকে উত্তরণে কোন হত্যাকাণ্ডই সহায়ক নয়, এই সহজ আপ্তবাক্য ক্ষমতাধারী এবং খুনিদের মস্তিষ্কে মোটেই পৌঁছয় না। হত্যাকাণ্ডের প্রাক-প্রস্তুতিতে যে সময়, অর্থ ও মেধার অপচয় হয় তা যদি মেনেও নেয়া হয়, তবুও বলতেই হয়, জীবনতো একটাই, শিকারিকে হত্যা কেন?

তাকে গ্রেফতার বা নিদেনপক্ষে সরিয়ে নিয়ে জীবনে বেঁচে থাকার সুযোগ দিতে কার্পণ্য কেন? একজন অস্থিমজ্জার মানুষইতো রাষ্ট্রেনেতার পদে আসীন হন, তিনি তো অন্য গ্রহের কোন অচেনা জীব নন। এই দায়িত্বের আড়ালে তিনি একজন মানুষ, তার বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন খুনিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার অধিকার রাষ্ট্র বিচারককে দিয়েছে কোন কোন দেশে, সেটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। পৃথিবীতে মৃত্যুদণ্ড রহিতের জন্য যেখানে প্রায় দেড়শ বছর যাবত আন্দোলন চলছে, সেখানে রাষ্ট্রনেতাকে খুন করা সভ্যতার পরিপন্থী।

আর বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে তার সংগে তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করাতো আরো জঘন্য অপরাধ। গরীব দেশ হাইতি তার অজনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতার হত্যাকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে ইতোমধ্যে বিচারিক কার্য্যের জন্য অপরাধীদের প্রায় সবাইকেই গ্রেফতার করেছে এবং বিশ্বনেতৃবৃন্দের কাছে সহায়তা চেয়েছে বাকীদের গ্রেফতারের জন্য। সেখানে বাংলাদেশে, সেনাপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের সবাইকে পুরস্কৃত করেছিল বিভিন্ন উচ্চপদে চাকরী দিয়ে। হত্যা বন্ধ হবে কি করে? পৃথিবীতে শান্তি আসবে কি করে?

হত্যার বিরুদ্ধে কয়েকটি বিখ্যাত উদ্ধৃতি দিয়ে এ নিবন্ধের যবনিকা টানতে চাই। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ছিলেন যে কোন ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে; তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যুদ্ধের আড়ালে শত্রু নিধনের যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখি তা হত্যার ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়, এটি কোনভাবেই কাম্য নয়’। বাইবেলে এক্সোডাস ২০:১৩ ভার্সে বলা হয়েছে, ‘You shall not murder’।

ভল্টেয়ার বলেছেন, ‘হত্যা সব সময়ই নিষেধ এবং সমস্ত হত্যাকারীকেই শাস্তি দিতে হবে’। উইলিয়াম এস বারোস বলেছেন, ‘কেউ জীবনের মালিক নয়, তবে যে কেউ একটি ফ্রাইং প্যান তুলতে পারে সে মৃত্যুর মালিক’। জাপানের জনপ্রিয় তরুণ লেখক হিরো মাশিমা বলেছেন, ‘যদি কেবল কাউকে হত্যার মধ্য দিয়ে শান্তি আনতে হয়ে তাহলে সে ধরনের শান্তি আমি চাই না’।

১৫ আগস্ট জাতির পিতার এই মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের দিনে আসুন দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আওয়াজ তুলি, পৃথিবীতে সব ধরণের হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক। জয় বাংলা!

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment