বিতর্কে খারাপ করায় বাইডেনকে চিঠিতে যা লিখলেন বাল্যবন্ধু
নির্বাচনী বিতর্কে খারাপ পারফরমেন্সের জন্য চারদিক থেকে বিপদে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরই মধ্যে তাকে সরানো নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে তিনি দলকে জয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আর এরই মধ্যে বাইডেনের শৈশবের বন্ধু জে পরিনি নির্বাচনী বিতর্কে খারাপ করায় বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে বাল্যবন্ধুও বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে সিএনএন-এর নির্বাচনী বিতর্ক নিয়ে নিজের মতামত জানাতে লেখক ও কবি জে পরিনি বাইডেনের সঙ্গে তার দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, তার মা বাইডেনের বেবিসিটার ছিলেন। অবশ্য জে পরিনি বাইডেনের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন। মহামারি এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করেছেন বাইডেন, বলছেন জে পরিনি।
তার মতে, বিতর্ক চলার সময় বাইডেনের বিষয়ে উদ্বেগের কারণগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। তার কর্কশ কন্ঠস্বর, ঘন ঘন অস্থিরতা, তোতলানো, প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় খেই হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি তার মতো অনেকের মনেই তখন প্রশ্ন জেগেছিল যে, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো অবস্থায় আছেন কী না।
আরও এক মেয়াদে দেশ পরিচালনা করার জন্য বাইডেন যোগ্য নন উল্লেখ করে পরিনি চিঠিতে লেখেন, ‘প্রিয় জো, তুমি এখন আমার মত বুড়ো হয়ে গেছো। আমি জানি, সারাদিন চলার শক্তি জোগাড় করা কতটা কঠিন। আমাদের দেহ আগের মতো আর সহযোগিতা করবে না। এখন কখনও কখনও সকালে ঘুম থেকে উঠতেও কষ্ট হয়।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনকে ‘পুরানো, ফ্যাকাশে ও ভঙ্গুর’ অভিহিত করে পরিনি তার শৈশবের বন্ধুকে আরও শক্তিশালী কোনো ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর কাছে প্রেসিডেন্ট পদটি ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান। এর মধ্য দিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় থাকবে এবং ইতিহাস তাকে স্মরণীয় করে রাখবে। পরিনি ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয়ের ইঙ্গিত দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, ‘গণতন্ত্র সত্যিই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি নিজে কাঁদছি। তোমার জন্য কাঁদছি। আমাদের জাতির জন্য কাঁদছি।’
জে পরিনি চিঠিতে লেখেন, ‘ট্রাম্প যদি হোয়াইট হাউজে ফিরে আসেন, তবে তিনি দরিদ্র ইউক্রেনীয়দের পিষে মারতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করার লাইসেন্স দিয়ে দেবেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে দেবেন। তিনি ক্ষমতায় ফিরলে ন্যাটো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীন এবং অন্য কোথাও থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক চাপাবেন, যা মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলবে।’
সবশেষে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার এবং সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিজের মতো ডেমোক্রেটিক নেতাদের আগামী নির্বাচনের জন্য বাইডেনের বিকল্প খোঁজার মতো সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জে পরিনি।