বেজোসকে টপকে গেলেন বাফেট
আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসকে টপকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছেন।
তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিল গেটসের সঙ্গে মাত্র ২ বিলিয়ন ব্যবধান রয়েছে তার। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজনেস ইনসাইডারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় বেজোসকে পেছনে ফেলার পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীর তালিকা থেকে বিল গেটসে হঠানো এখন বাফেটের জন্য সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ব্লুমবার্গ বিলয়নেয়ার সূচক অনুযায়ী, বাফেটের সম্পদ জেফ বেজোসের চেয়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি ছিল। বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ এ বছরের শুরুতে ইলন মাস্কের চেয়ে সম্পদের দিক থেকে ১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পিছিয়ে ছিলেন বাফেট। এ সময় বেজেসের চেয়ে ৯০ বিলিয়ন ও গেটসের চেয়ে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ কম ছিল তার। কিন্তু বছর না পেরোতেই তিনি বেজোসকে টপকে গেছেন এবং গেটস ও ইলন মাস্ককে ছুঁয়ে ফেলার কাছাকাছি চলে এসেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে বার্কশায়ারের শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে। শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে বাফেটের ৯৯ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, মাইক্রোসফটের শেয়ারের মূল্য কমেছে ৩০ শতাংশ আর আমাজনের প্রায় ৫০ শতাংশ। টেসলার শেয়ারের দাম ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গেছে। কিন্তু, বার্কশায়ারের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ। এর মধ্যে আবার বাফেট ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাতব্য খাতে ব্যয় করেছেন। তা না হলে তার সম্পদ আরও বাড়ত।
২০০৬ সাল থেকেই বাফেট দাতব্য কাজে সম্পদ দান করছেন। তিনি এখন পর্যন্ত তার শেয়ারের ৫২ শতাংশ দান করেছেন। তার শেয়ার দান না করলে এখন তার সম্পদ দাঁড়াত ২২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ধনী হতে পারতেন তিনি। তবে দান করা স্বত্বেও এখনো বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার নাম রয়েছে। ধনকুবেরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট। তিনি ফ্রান্সের বিলাসপণ্যের কোম্পানি এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তার সম্পদের পরিমাণ ১৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানি। তার সম্পদের পরিমাণ ১২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন বাফেট যদি বিল গেটসকে ছাড়িয়ে যান তবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ইলন মাস্কের পরেই চলে আসবেন তিনি।