ভারতের যুদ্ধে যাওয়া ও না-যাওয়া: এক চিন্তার খসড়া!

শাহ্ জে. চৌধুরী
যুদ্ধ কখনও শান্তির উপায় হতে পারে না। ইতিহাসে বহু যুদ্ধ হয়েছে, লাখো প্রাণ ঝরেছে, শহর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে—তবু সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এমন উদাহরণ হাতে গোনা। তাই আজ যখন ভারত যুদ্ধের ধারে এসে দাঁড়ায়, তখন মনে প্রশ্ন জাগে—এই যুদ্ধ কার জন্য? কী এর উদ্দেশ্য?
আমার স্পষ্ট উপলব্ধি—এটি নিছক এক রাজনৈতিক খেলা। মোদির সরকার বারবার সামরিক উত্তেজনা তৈরি করে একধরনের ‘জাতীয়তাবাদী উত্তেজনা’ ছড়াতে চায়। এই উত্তেজনার ঢেউয়ে অনেক ভোট পাওয়া যায়, কিন্তু সংখ্যালঘুদের জীবনে নেমে আসে অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও শঙ্কা। যুদ্ধের কথা বললেই যারা আনন্দিত হন, তারা হয়ত কখনও সীমান্তে যাননি, কখনও তাঁদের প্রিয়জনকে হারাননি।
রাজনীতির এই কৌশলে গোটা সমাজই দুই ভাগে বিভক্ত হচ্ছে—‘দেশপ্রেমিক’ বনাম ‘দেশদ্রোহী’। শান্তির কথা বললেই কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়। অথচ প্রকৃত দেশপ্রেমিক সেই, যে যুদ্ধ এড়িয়ে শান্তির পথ খোঁজে। কারণ, স্থায়ী শান্তি আসে আলোচনার মাধ্যমে, যুদ্ধের মাধ্যমে নয়।
ভালো থাকবেন, ভালোবাসবেন।